Vikas Dubey

বিকাশ-তদন্তে প্যানেল?

সঙ্গী-সহ বিকাশ ও পুলিশকর্মীদের মৃত্যুর ঘটনায় আদালতের নজরদারিতে সিবিআই বা জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-কে দিয়ে তদন্তের দাবিতে করা একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২০ ০৩:১৩
Share:

ছবি: পিটিআই।

কানপুরের গ্যাংস্টার বিকাশ দুবে মামলায় সক্রিয় হল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বিকাশ দুবে ও তার একাধিক সঙ্গীর ‘এনকাউন্টার’ এবং তার ক’দিন আগে বিকাশের দলবলের হাতে ৮ পুলিশ কর্মী খুনের ঘটনার তদন্ত করতে একজন প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে প্যানেল গড়া হতে পারে বলে জানাল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।

Advertisement

সঙ্গী-সহ বিকাশ ও পুলিশকর্মীদের মৃত্যুর ঘটনায় আদালতের নজরদারিতে সিবিআই বা জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-কে দিয়ে তদন্তের দাবিতে করা একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘তেলঙ্গানার মতো এ ক্ষেত্রেও আমরা কিছু করব। উত্তরপ্রদেশ সরকার আমাদের জানাক, কী ধরনের কমিটি তারা চাইছে।’’ এ নিয়ে জবাব দেওয়ার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। আগামী সোমবার মামলাটির ফের শুনানি হবে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফের আইনজীবী তুষার মেহতা অবশ্য জবাব দেওয়ার জন্য আরও সময় চেয়েছেন।

তেলঙ্গানায় এক তরুণীকে গণধর্ষণের পরে জ্বালিয়ে খুন করার ঘটনায় ধৃত চার জন লাঠি-পাথর নিয়ে পুলিশকে আক্রমণ করে তাদের অস্ত্র ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পাল্টা ‘এনকাউন্টারে’ তাদের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ভি এস শিরপুরকরের নেতৃত্বে একটি প্যানেল গঠন করে সুপ্রিম কোর্ট। করোনা সংক্রমণের আবহে সেই প্যানেলের রিপোর্ট অবশ্য এখনও জমা পড়েনি।

Advertisement

বিকাশ দুবে মামলাতেও পুলিশের বয়ানের সঙ্গে তেলঙ্গানার ঘটনার মিল পাওয়া গিয়েছে। এ ক্ষেত্রেও পুলিশের দাবি, তাদের হেফাজত থেকে অস্ত্র ছিনতাই করে পালাতে গেলে ‘এনকাউন্টার’ হয় এবং বিকাশ দুবে মারা যায়। কিন্তু পুলিশের এই দাবি ঘিরে উঠেছে বিস্তর প্রশ্ন।

আজ বিকাশের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে লুট হওয়া একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করল পুলিশ। পাশাপাশি বিকাশের এক সঙ্গী শশীকান্ত ওরফে সোনু পাণ্ডেকেও আজ গ্রেফতার করা হয়েছে। সোনুর বাবা প্রেম কুমার পাণ্ডেও বিকাশের দলেই কাজ করত। ঘটনার দিন প্রেম কুমার পুলিশের হাতেই মারা যায়। তার পরেই মায়ের কথায় বাড়ি ছাড়া হয় সোনু। পুলিশের খাতায় তার মাথার দাম ছিল ৫০ হাজার টাকা। সোনুর কাছ থেকে একটি ইনসাস রাইফেল উদ্ধার হয়েছে।

গ্রেফতারের পরে মাথা কামানো সোনুকে নিয়ে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দিয়েছে বিকাশের এই সঙ্গী। বাবার পারলৌকিক কাজ করার জন্য সে মাথা কামিয়েছে বলে জানিয়েছে সোনু। তার দাবি, ২ জুলাই রাতে পুলিশের দলের উপরে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল বিকাশ দুবে নিজেই। পুলিশ টিম তার বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছতেই বিকাশ তাদের উপরে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল বলে দাবি করেছে সোনু। পুলিশ খুনের কথা বলতে গিয়ে সোনুর মন্তব্য ‘‘খুব নৃশংস ভাবে ওদের মারা হয়েছিল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement