ফাইল চিত্র।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি)-এ পিওন পদে চাকরি পেয়েছিলেন অমিতকুমার দাস। কিন্তু তিনি যে স্নাতক তা গোপন করে ওই পদের জন্য আবেদন করেছিলেন। এই অভিযোগে, অমিতকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন পিএনবি কর্তৃপক্ষ। আজ এ বিষয়ে মামলাটি উঠলে তা শুনতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট। তবে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, পিএনবি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত সঠিক। কারণ, বিজ্ঞাপনে শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি নির্দিষ্ট করা সত্ত্বেও অমিত তা লুকিয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং চাকরি পেয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে ওড়িশা হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। হাইকোর্ট জানিয়েছিল, ব্যাঙ্ক যেন অমিতকে চাকরিতে বহাল রাখে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল পিএনবি। সুপ্রিম কোর্ট আজ জানিয়েছে, কোনও কর্মী যদি শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করেন বা অসত্য তথ্য দেন, তা হলে তিনি চাকরিতে বহাল থাকার দাবি জানাতে পারেন না। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি আর সুভাষ রেড্ডি এবং বিচারপতি এম আর শাহের বেঞ্চ বলেছে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ পিওন পদের বিজ্ঞাপনে জানিয়েছিল, আবেদনকারীকে দ্বাদশ শ্রেণি বা সমতুল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে, তিনি যেন ইংরেজি লিখতে ও পড়তে পারেন। কিন্তু ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত স্নাতক হওয়া কোনও ব্যক্তি ওই পদে আবেদন করতে পারবেন না। আবেদনকারী অমিতকুমার দাস ওই বিজ্ঞাপনটিকে চ্যালেঞ্জ করেননি। তিনি নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা গোপন করে আবেদন করেছিলেন।
অমিতকুমার বিএ পাশ। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ইচ্ছাকৃত ভাবে, ভেবেচিন্তে, স্বেচ্ছায় অমিতকুমার তাঁর যোগ্যতা গোপন করেছেন। অতীতের একটি রায়কে তুলে ধরে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, তথ্য গোপন করা বা অসত্য তথ্য দেওয়া চাকরিজীবী বা কর্মী বা আবেদনকারীর স্বভাবের নৈতিক দিকটি তুলে ধরে। আদালত মনে করে, কোনও কর্মী নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে সঠিক তথ্যই দেবেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। তিনি বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন। তাই ওই পদে চাকরিতে তিনি আবেদন করতে পারেন না। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, ‘‘অমিতকুমার দাসের আবেদনের ফলে এক জন প্রকৃত প্রার্থী বঞ্চিত হয়েছেন।’’