প্রতীকী ছবি।
চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের ৬০ দিনের মধ্যে এনআরসি-ছুট ব্যক্তিদের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আবেদন জানাতে হবে বলে বলা আছে কেন্দ্রীয় গেজেটে। কয়েকটি আইন ও বিধি সংশোধনকরে গত ৩০ মে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কিন্তু আমসু ও মৌলানা সৈয়দ আরসাদ মাদানির নেতৃত্বে জমিয়ত আজ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়ে বলে, এনআরসির প্রামাণ্য শংসাপত্র বা সার্টিফায়েড কপি হাতে পেতে অনেকেরই বেশ কয়েক দিন লেগে যাবে। তাই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর থেকে ৬০ দিন, না সার্টিফায়েড কপি হাতে পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে হবে, তা নির্দিষ্ট করে জানানো হোক।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুনানি চলাকালীন ১৯৪৬ সালের বিদেশি আইনের অধীনে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এনআরসি-ছুট আবেদনকারীর বিরুদ্ধে ‘বিদেশি’ হিসেবে মামলা রুজু করতে পারবে। কিন্তু জমিয়তের দাবি, যাঁরা ৬০ দিনের মধ্যে আবেদন জানাবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা ও মামলা রুজু করায় তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু যাঁরা আবেদন জানাবেন তাঁদেরও গ্রেফতার করে নতুন করে মামলা ঠোকা অন্যায় ও স্ববিরোধিতা।
কারণ একই সময়, একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একই বিষয়ে দু’টি মামলা চালানো যায় না। আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আবেদনকারীকে গ্রেফতার যেন না করা হয়। আবেদনকারীদের শুনানির অধিকার নিশ্চিত করার দাবিও শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে জমিয়ত ও আমসু। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও বিচারপতি দীপক গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছ থেকে হলফনামা চেয়েছে।