সাবিত্রী জিন্দল। — ফাইল চিত্র।
হরিয়ানায় আরও মজবুত হল বিজেপির হাত। বিজেপিকে সমর্থন জানানোর ঘোষণা করলেন দেশের সব থেকে ধনী মহিলা সাবিত্রী জিন্দল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ৭৪ বছরের সাবিত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। তার পরেই বিজেপিকে সমর্থন জানানোর কথা ঘোষণা করে দেন সাবিত্রী। এর আগে সদ্য নির্বাচিত দুই নির্দল প্রার্থী দেবেন্দ্র কড়িয়ান এবং রাজেশ জুন বিজেপিকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন। তার পরেই হরিয়ানা বিধানসভায় ৯০টি আসনের মধ্যে বিজেপির সদস্য সংখ্যা হয়েছে ৫১।
হরিয়ানা বিজেপির প্রধান মোহনলাল বাদোলি সাবিত্রীদের সমর্থন ঘোষণার বিষয়ে সিলমোহর দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপির জয় নিয়ে এই তিন বিধায়ক খুবই খুশি। তাঁরা বিজেপিকে সমর্থন জানাতে ইচ্ছুক। দিল্লিতে এই নিয়ে কথাবার্তা চলছে।’’
হরিয়ানার হিসার বিধানসভা আসন থেকে জয়ী হয়েছেন সাবিত্রী। তাঁর ছেলে নবীন জিন্দল হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র লোকসভা আসনের সাংসদ। এই হিসার আসনটি সাবিত্রীর ‘শক্ত ঘাঁটি’ বলেই পরিচিত। ২০০৫ এবং ২০০৯ সালে এই আসন থেকে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন সাবিত্রী। যদিও তখন তিনি কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন। ২০১৩ সালে হরিয়ানায় ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা সরকারের মন্ত্রিসভাতেও স্থান পেয়েছিলেন সাবিত্রী। গত মার্চ মাসে, লোকসভা ভোটের আগে ছেলে নবীন কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তিনিও একই পথে হেঁটেছিলেন। বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সাবিত্রী। যদিও চলতি হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি তাঁকে হিসার আসনে টিকিট দেয়নি। তার পরেই নির্দল হয়ে নিজের পুরনো কেন্দ্র হিসারে নির্বাচন লড়ার সিদ্ধান্ত নেন সাবিত্রী। সেখানে কংগ্রেসের রামনিবাস রারাকে ১৮ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত করেন তিনি। জয়ের এক দিন পর বিজেপিকে সমর্থন জানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন সাবিত্রী।
এর আগে বুধবার সকালে দেবেন্দ্র এবং রাজেশ বিজেপিকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা হরিয়ানায় বিজেপির পর্যবেক্ষক ধর্মেন্দ্র এবং রাজ্য বিজেপি প্রধান মোহনের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনাও করেছেন একপ্রস্থ। প্রাক্তন বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র গানাউরে নির্দল হয়ে লড়ে কংগ্রেসের কুলদীপ শর্মাকে হারিয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার ভোটে। নির্দল প্র্রার্থী রাজেশ বাহাদুরগড়ে বিজেপির দীনেশ কৌশিককে প্রায় ৪১ হাজার ভোটে পরাজিত করেছেন। তাঁরা দু’জনেই বিজেপিকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন।