Coronavirus in India

বেতনভুক মধ্যবিত্তদের চেয়ে ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প বাঁচানোই অগ্রাধিকার, বলছে নীতি আয়োগ

পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার সমস্যাকেও খুব একটা পাত্তা দিতে চাননি রাজীব কুমার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২০ ১৫:২৩
Share:

নির্মলা সীতারামনের আর্থিক প্যাকেজ ও পিএফ-এর সিদ্ধান্ত সমর্থন নীতি আয়োগের।

‘আত্মনির্ভর ভারত’ পিএফ-এর সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সরব হয়েছে কর্মী সংগঠনগুলি। তাদের অভিযোগ, এই সিদ্ধান্তে সাময়িক হাতে নগদ বেশি পেলেও আদপে মাইনে কমে গিয়ে ক্ষতি হবে কর্মীদের। কিন্তু তাতে আমল দিতে রাজি নয় নীতি আয়োগ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত সমর্থন করে নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমারের বক্তব্য, এই সঙ্কটের সময় বেতনভুক মধ্যবিত্তদের প্রাধান্য দেওয়া নয়, বরং ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে বাঁচানোই সরকারের মূল দায়িত্ব।

Advertisement

পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার সমস্যাকেও খুব একটা পাত্তা দিতে চাননি রাজীব কুমার। তাঁর মতে, মোট পরিযায়ী শ্রমিকের হিসেবে খুব কম সংখ্যকই ঘরে ফিরেছেন। ফলে লকডাউন ওঠার পর কাজ শুরু হলে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র বা মাঝারি শিল্পে কাজ চালাতে খুব একটা সমস্যা হবে না।

মঙ্গলবার ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পে ২০ লক্ষ কোটির আর্থিক পুনরুজ্জীবন প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার সেই প্রকল্পের প্রথম ধাপে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি (এমএসএমই) শিল্পক্ষেত্রের জন্য ৩ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অন্য দিকে, কর্মীদের পি এফ খাতে ১২ শতাংশের বদলে ১০ শতাংশ জমা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানিয়েছেন তিনি। দুই বিষয়কেই সমর্থন করে রাজীব কুমারের বক্তব্য, যে কোনও মূল্যে সরকার এমএসএমই ক্ষেত্রকে বাঁচাবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: পিএফ খাতে ২ শতাংশ কমার অর্থ মাসিক আয় ২ শতাংশ ছাঁটাই? উঠছে প্রশ্ন

আরও পড়ুন: ৩০ জুন পর্যন্ত সমস্ত ট্রেনের টিকিট বাতিল, চলবে শুধু স্পেশাল ট্রেন​

পিএফ-এর প্রশ্নে রাজীব কুমারের জবাব, ‘‘আমার স্পষ্ট মনে হয় যে, সংগঠিত ক্ষেত্রে করদাতা মধ্যবিত্ত শ্রেণির চেয়ে অসংগঠিত ক্ষেত্রের নেতৃত্বে থাকা ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে বাঁচানো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’’

তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে ১৭ মে। নিয়ন্ত্রণ কিছুটা শিথিল হলেও চতুর্থ দফাতেও যে লকডাউন হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী তার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। ট্রেনে, লরি বা ছোট গাড়িতে, সাইকেলে, এমনকি হেঁটেও বাড়ি ফিরছেন লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক। সেক্ষেত্রে লকডাউন ওঠার পর ছোট শিল্পে কাজ শুরু হলে শ্রমিকের অভাব দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু নীতি আয়োগের চেয়ারম্যানের মতে, সেই সমস্যা হবে না। রাজীব কুমারের যুক্তি, অসংগঠিত ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের মতে এই ক্ষেত্রে মোট কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ২০ লক্ষ। তিনি বলেন, আমি মনে করি তার মধ্যে ৫০ লক্ষ থেকে ৬০ লক্ষ লোকই ঘরে ফিরেছেন। বাকিরা কর্মস্থলেই থেকে গিয়েছেন। লকডআউন ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা ফের কাজে লেগে পড়তে পারবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement