দিল্লির ম্যাক্স সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানালেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন।
গত বৃহস্পতিবার থেকে বিতর্কের কেন্দ্রে রাজধানীর অন্যতম বড় এই হাসপাতাল। সে দিন ওই হাসপাতালে এক যমজ সন্তানের জন্ম দেন বর্ষা নামের এক তরুণী। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছিল, বর্ষার মেয়েটি মৃত অবস্থায় জন্মেছে। ছেলেটির অবস্থা আশঙ্কাজনক জানানো হয় প্রথমে। কিছু ক্ষণ পরে চিকিৎসক জানান, ছেলেটিরও মৃত্যু হয়েছে। প্লাস্টিক ব্যাগে দুই সন্তানের দেহ বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দেহ দু’টি সৎকারের সময় বর্ষা এবং তাঁর স্বামী খেয়াল করেন, ব্যাগের মধ্যে একটি শিশু নড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে অন্য একটি হাসপাতালে দৌড়ন তাঁরা, যেখানে বলা হয় ছেলেটি বেঁচে রয়েছে।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সারা দেশে হইচই পড়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে দিল্লির স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নড্ডা। তদন্তের নির্দেশও দেন তিনি। আজ দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘যখনই হাসপাতালের গাফিলতির কথা জানতে পারি, আমরা তদন্তের নির্দেশ দিই। যদি দেখা যায়, হাসপাতালের চূড়ান্ত গাফিলতি ছিল, তা হলে ওই হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে।’’ মন্ত্রী জানিয়েছেন, তদন্ত রিপোর্ট আসবে সোমবার। তার পরই বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাঁর আরও বক্তব্য, গত ২২ নভেম্বরই হাসপাতালটিকে শো-কজ নোটিস ধরানো হয়েছিল। ওই হাসপাতালে ইডব্লিউএস (ইকনমিকালি উইকার সেকশন) ক্যাটেগরির রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছিল। তার পরই ওই নোটিস ধরানো হয়।
ম্যাক্স হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য আগেই জানিয়েছেন, অভিযুক্ত চিকিৎসককে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির বাবা-মার যে কোনও সাহায্যে তাঁরা পাশে আছেন বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।