Satyendra Jain

জেলবন্দি সত্যেন্দ্রর ঘর থেকে সরানো হল চেয়ার-টেবিল, ১৫ দিন দর্শনার্থী-সাক্ষাতেও ‘না’!

আর্থিক তছরুপের মামলায় অভিযুক্ত সত্যেন্দ্রকে চলতি বছরের জুনে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তার পর থেকে তিহাড়়ের ৭ নম্বর জেলে রয়েছেন সত্যেন্দ্র জৈন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ ২১:১৫
Share:

সমাজমাধ্যমে একাধিক ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর অভিযোগ, জেলে বসেই ভিআইপির মতো অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন অরবিন্দ কেজরীওয়ালের মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। ছবি: সংগৃহীত।

তিহাড়ে আপাতত ‘ভিআইপি-সুখ’ পাবেন না আর্থিক তছরুপের মামলায় জেলবন্দি দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। একাধিক সিসিটিভি-বিতর্কের পর এ বার তাঁর ঘর থেকে সরানো হল চেয়ার-টেবিল, বিছানার চাদর-সহ নানা সুবিধা। সেই সঙ্গে জেল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ, ১৫ দিন কোনও দর্শনার্থীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন না তিনি। রবিবার সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনই দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

আর্থিক তছরুপের মামলায় অভিযুক্ত সত্যেন্দ্রকে চলতি বছরের জুনে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তার পর থেকে তিহাড়়ের ৭ নম্বর জেলে রয়েছেন তিনি। তবে সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে একাধিক ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর অভিযোগ, জেলে বসেই ভিআইপির মতো অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন অরবিন্দ কেজরীওয়ালের মন্ত্রী। কোনও ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, সত্যেন্দ্রর পা মালিশ করে দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। আবার কোনও ভিডিয়োয় উঠে এসেছে, আয়েশ করে বিছানায় বসে জেল সুপারের সঙ্গে গল্পগুজব করছেন তিনি। যদিও ওই ভিডিয়োগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

দিল্লি পুরনিগম এবং গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের আগে এ ধরনের একাধিক ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক ছড়িয়েছে। তাতে অস্বস্তিতে পড়েছেন আম আদমি পার্টি (আপ) নেতৃত্ব। জেলে বসে তাঁর মন্ত্রীর মালিশকাণ্ডে খোদ কেজরীর দাবি, অসুস্থ হওয়ায় ফিজ়িয়োথেরাপি চলছে সত্যেন্দ্রর। অন্য দিকে, তিহাড়ের জেল সুপার সন্দীপ গয়ালকে সাসপেন্ড করা হয়।

Advertisement

সত্যেন্দ্র ভিডিয়োগুলি নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই একটি কমিটি গঠন করেন দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা। কমিটির সুপারিশ, আগামী ২৪ ঘণ্টা জেল কর্তৃপক্ষের কড়া নজর থাকবেন সত্যেন্দ্র। সেই সঙ্গে দিন পনেরো তাঁর বেশ কিছু ‘সুবিধায়’ কোপ পড়েছে। কমিটির দাবি, সত্যেন্দ্রর সঙ্গে যোগসাজশ করেই তাঁকে ‘ভিআইপি’ সুবিধা দিচ্ছিলেন সাসপেন্ড হওয়া জেল সুপার সন্দীপ গয়াল। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের সুপারিশ করেছে কমিটি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement