উপাচার্য শান্তিশ্রী পণ্ডিত।
জাতীয়তাবাদ সবার আগে এবং জেএনইউ-য়ে শুধু বামপন্থা নয়, সব ধরনের মতবাদের জায়গা আছে— বললেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য শান্তিশ্রী পণ্ডিত। রামনবমীর দিন আমিষ খাওয়াকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ছাত্র সংঘর্ষ ঘটে গিয়েছে ক্যাম্পাসে। বুধবার একটি টিভি চ্যানেলে সে প্রসঙ্গেই বিষয়টি ওঠে। উপাচার্য বলেন, ‘‘আমি সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। বলেছি যে, সবাই যার যার ধর্মাচরণ করতে পারবে। কিন্তু হিংসাকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। আমি বৈচিত্রের পক্ষে। শুধু বাম মতবাদ নয়, সব ধরনের মতবাদকে জায়গা দেওয়ার পক্ষে।’’
শান্তিশ্রী শুধু জেএনইউ-এর প্রথম মহিলা উপাচার্যই নন, তিনিই প্রথম জেএনইউ প্রাক্তনী যিনি ওই প্রতিষ্ঠানের উপাচার্য হলেন। তিনি বলেন, আধুনিক ভারতের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান জেএনইউ-কে তিনি সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। সেই লক্ষ্য সম্পর্কে বলতে গিয়েই উপাচার্য বলেন, ‘‘আমরা বিশ্বজনীন ঠিকই, কিন্তু সবার আগে জাতীয়তাবাদী।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘পড়ুয়ারা অনেকেই ভাবে স্বাধীনতার সঙ্গে দায়িত্বের যোগ ক্ষীণ। কারণ জেএনইউ-য়ে তারা সব কিছু পায়, কোনও সমস্যায় না পড়েই অনেক কিছু করতে পারে। জেএনইউ পড়ুয়াদের সেই সব কর্মসূচি পালনের সুযোগ দেয়। এখানকার আবহাওয়াটাই সে রকম। কিন্তু সীমানা ছাড়িয়ে গেলে সমস্যা তৈরি হয়। প্যাশন যাতে যুক্তিকে অতিক্রম না করে, সেটা দেখা দরকার।’’
তবে সার্বিক ভাবে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে খুবই আশাবাদী শান্তিশ্রী। তাঁর মতে, দেশ একটা রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জেএনইউ-ও তার বাইরে নয়। তাঁর সহকর্মী এবং ছাত্রনেতাদের একাংশের সঙ্গে তাঁর মতভেদ থাকতে পারে। কিন্তু সকলেই সহযোগিতা করতে এবং সুস্থ ভাবে কথোপকথন চালাতে আগ্রহী। উপাচার্যের কথায়, এখানে কেউই সমস্যা নয়, সকলেই সমাধানের অংশ।