বনশালী-হেনস্থার এই ছবিই ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন সাইটে।
চড় খেলেন সঞ্জয় লীলা বনশালী। ইতিহাস ‘বিকৃত’ করার অভিযোগে।
জয়পুরের জয়গড় দুর্গে শ্যুটিং চলছিল বনশালীর নতুন ছবি ‘পদ্মাবতীর’। মনিটরের সামনে বসে ছিলেন স্বয়ং পরিচালক। হঠাৎ কিছু লোক হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে সেটে। এবং সটান চড়াও হয় পরিচালকের উপর। ছবির কলাকুশলীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাণ্ডব শুরু করে দেয়। বিক্ষোভকারীদের হাতে থাপ্পড় খেয়ে যান পরিচালক। তাঁর চুল ধরেও টানা হয়। কোনও ক্রমে বনশালীকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলে দুষ্কৃতীরা সেটের দামি যন্ত্রপাতির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বেশ কিছু ক্ষণ ধরে ভাঙচুর চালায় তারা।
কারা হামলা চালাল সেটে?
জানা গিয়েছে, হামলাকারীরা ‘রাজপুত কর্ণী সেনা’ নামে এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্য। এর আগে ‘জোধা আকবর’-এর শ্যুটিংয়ের সময়েও বিক্ষোভ দেখিয়েছিল তারা। এ বার কর্ণী সেনাদের দাবি, বনশালীর ছবিতে রানি পদ্মিনীকে ‘খারাপ ভাবে’ দেখানো হয়েছে। রাজস্থানের এই ‘অসম্মান’-এর প্রতিবাদেই এই বিক্ষোভ বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
পুরো ঘটনা ধরা পড়েছে ভিডিওতে। বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীরা হিন্দিতে গালিগালাজ করছে। ক্যামেরা ভেঙে দেওয়ারও চেষ্টা হচ্ছিল।
চিতোরের রানি পদ্মিনীর জীবন অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে ‘পদ্মাবতী’। ছবিতে রানি পদ্মিনীর চরিত্রে দীপিকা পাড়ুকোন, আলাউদ্দিন খিলজির চরিত্রে রণবীর সিংহ ও রাজা রত্নসেনের ভূমিকায় শাহিদ কপূর। বিক্ষোভকারীদের দাবি, যে আলাউদ্দিন খিলজির হাত থেকে বাঁচাতে জহর ব্রত করেছিলেন রানি পদ্মিনী, সেই আলাউদ্দিনের সঙ্গেই ছবির ‘পদ্মাবতী’র ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত দেখানো হয়েছে। তবে এই দাবি সত্যি কি না, তার কোনও প্রমাণ মেলেনি।
বনশালী জানিয়েছেন, জয়গড় দুর্গে আর শ্যুটিং করতে চান না তাঁরা। তবে কর্ণী সেনাদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিক্ষোভকারীদের দাবি ভেবে-চিন্তে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ‘বাজিরাও মস্তানি’র পরিচালক।