মোদীময় সঙ্ঘ! তোগাড়িয়ার বিদায়ে জল্পনা

এক সময় মোদীর সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে গুজরাতে দলের কাজ করতেন সঞ্জয়। সেই ঘনিষ্ঠতা তিক্ততায় বদলে যাওয়ার পরে পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, বিজেপির কর্মসমিতি থেকে সঞ্জয় ইস্তফা না দেওয়া ইস্তক গুজরাত থেকে মুম্বই যাননি মোদী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:০১
Share:

সঞ্জয় জোশী এবং প্রবীণ তোগাড়িয়া।

নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতার পরিণাম টের পাচ্ছেন দু’জনেই!

Advertisement

সঞ্জয় জোশী এবং প্রবীণ তোগাড়িয়া।

এক সময় মোদীর সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে গুজরাতে দলের কাজ করতেন সঞ্জয়। সেই ঘনিষ্ঠতা তিক্ততায় বদলে যাওয়ার পরে পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, বিজেপির কর্মসমিতি থেকে সঞ্জয় ইস্তফা না দেওয়া ইস্তক গুজরাত থেকে মুম্বই যাননি মোদী। এ ঘটনা মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে, মুম্বইয়ে দলের কর্মসমিতির বৈঠকের সময়। মোদী-জমানায় বিজেপির ত্রিসীমানায় ঢুকতে পারেন না অতীতে দলের সংগঠনের দায়িত্বে থাকা এই আরএসএস নেতা।

Advertisement

তেমনই প্রবীণ তোগাড়িয়া। এক সময় মোদীর সঙ্গে এক স্কুটারে চষে ফেলেছেন গুজরাত। মোদী বহু দিন কাটিয়েছেন তোগাড়িয়ার বাড়িতে। কিন্তু মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে সেই বন্ধুত্ব বদলে গিয়েছে চরম তিক্ততায়। তোগাড়িয়া প্রকাশ্যে মোদীকে ‘হিন্দু-বিরোধী’ বলেছেন। এমনকী ভুয়ো সংঘর্ষে তাঁকে খুনের চক্রান্তের অভিযোগও করেছেন। পরে রফার চেষ্টা করলেও মোদী পাত্তা দেননি।

এক সময়ের ঝাঁঝালো হিন্দুত্বের মুখ সেই তোগাড়িয়াকে বেশ কিছু দিন ধরেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ থেকে সরানোর চেষ্টা করছিল মোদী-শিবির। অবশেষে শনিবার, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ইতিহাসে প্রথম বার ভোটাভুটির মাধ্যমে তোগাড়িয়ার অপসারণ চূড়ান্ত হল।

এবং সেই বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গেই প্রশ্ন উঠেছে, মোদীর সঙ্গে যাঁদেরই ব্যক্তিগত তিক্ততা, তাঁদের সকলের কি এ ভাবে কোণঠাসা হওয়াই পরিণতি? তার থেকেও বড় প্রশ্ন, সঙ্ঘের উপরেও কি এখন মোদীর এতটাই প্রভাব?

প্রকাশ্যে এই নিয়ে কেউ মুখ না খুললেও সঙ্ঘের অনেকেই বলছেন, সঞ্জয় জোশী বা তোগাড়িয়া— কারও বিদায়েই মোদীর ভূমিকার কথা অস্বীকার করা যায় না। তবে এটাও ঠিক, সঙ্ঘেরও একটি বড় অংশ তোগাড়িয়ার অপসারণ চাইছিল। বিশেষ করে তোগাড়িয়া প্রকাশ্যেই মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দাগায় অখুশি হয় সঙ্ঘ। তার পরেই ভোটাভুটিতে তোগাড়িয়া শিবিরের বিদায়।

এর প্রতিবাদে তোগাড়িয়া গত কালই নতুন মোর্চা গড়ে সমান্তরাল আন্দোলনে নামার ইঙ্গিত দিয়েছেন। যার পরে আজ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নবনির্বাচিত নেতৃত্ব সামনে আসে। নতুন সভাপতি বিষ্ণু সদাশিব কোকজে, আন্তর্জাতিক কার্যকরী সভাপতি অলোক কুমার যা বললেন, সেগুলোই দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিলেন তোগাড়িয়া।

নতুন নেতৃত্ব বললেন, পালাবদলের পরেও রামমন্দির নির্মাণের আন্দোলন দুর্বল হবে না। তোগাড়িয়ার আদলেই তাঁদের বক্তব্য, রামের জন্মস্থানেই রামমন্দির হবে, মন্দির সেই পাথরেই হবে, সেই আদলেই হবে। আর মসজিদ হবে ‘সাংস্কৃতিক অযোধ্যা’র বাইরে। আদালতের মাধ্যমে না হলে আইন করে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement