কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা কমল নাথ। ছবি: পিটিআই।
সনাতন বিতর্কে ফায়দা তুলে নিচ্ছে বিজেপি এবং ক্ষতি হচ্ছে কংগ্রেস তথা ইন্ডিয়া জোটের— তা বুঝে আজ বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগে সরব হলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা কমল নাথ। তিনি বলেন, ‘‘দেশের আসল সমস্যা থেকে নজর ঘোরাতেই সনাতন বিতর্ককে হাতিয়ার করেছে বিজেপি।’’
সনাতন ধর্ম প্রসঙ্গে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের ছেলে উদয়নিধির বিতর্কিত মন্তব্যের পরেই প্রচারে নেমে পড়েন শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্ব। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চলতি সপ্তাহেই মুখ খোলেন। এই ধারাবাহিক প্রচারে নিচুতলায় হিন্দু ভোটের মেরুকরণ যে হচ্ছে তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কারণ, প্রচার চালানো হচ্ছে, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে তাঁদের প্রধান লক্ষ্যই হবে সনাতন ধর্মকে ধ্বংস করে দেওয়া। তাই সম্প্রতি ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে ডিএমকে নেতৃত্বকে অবিলম্বে ক্ষত মেরামতির বার্তা দেওয়া হয়।
পাশাপাশি আজ পাল্টা জবাব দেওয়ার কৌশল নেন কমল নাথ। তিনি বলেন, ‘‘ভারতের অধিকাংশ মানুষ সনাতন ধর্ম পালন করেন। সেই সনাতন ধর্ম সংক্রান্ত বিতর্ককে ইচ্ছে করে প্রচারের আলোয় নিয়ে এসে দেশের প্রকৃত সমস্যা থেকে নজর ঘোরানোর কৌশল নিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।’’
কমল নাথের মতে, বিজেপি এমন ভাব করছে যে দেশের হিন্দু ধর্মের সব দায়িত্ব তাদের। আসলে এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে রাজনীতির ভাষ্য পাল্টাতে চাইছে শাসক শিবির।
বিজেপি নেতৃত্বের পাল্টা প্রশ্ন, ডিএমকে নেতৃত্ব যে কুমন্তব্য করেছিলেন, তার প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে কেন দেখা যায়নি সনিয়া বা রাহুল গান্ধীকে? তা হলে কি ধরে নিতে হবে ডিএমকে নেতার মন্তব্যে সম্মতি রয়েছে তাঁদের।
কংগ্রেসের অভিযোগ, পাঁচ বছর আগে ঠিক এ ভাবেই লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয়তাবাদ ও সার্জিকাল স্ট্রাইককে মূল ভাষ্য করেছিল বিজেপি। জাতীয়তাবাদের হাওয়ায় ভর করে নির্বাচন জিততে অসুবিধা হয়নি বিজেপির। কংগ্রেসের অভিযোগ, এ বছর সনাতন বিতর্ককে সামনে রেখে ফের দেশ জুড়ে হিন্দুত্বের ভাষ্য তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। কমলনাথের কথায়, ‘‘যাতে হিন্দুত্বের ওই হাওয়ায় পাঁচ রাজ্যে ভাল ফল করা সম্ভব হয়।’’