—ফাইল চিত্র
হাতে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। তাই সমলিঙ্গে বিয়ে নিয়ে এই মুহূর্তে ভাবনা-চিন্তা করতে চায় না কেন্দ্র। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে আজ এই মন্তব্য করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।
বিয়ে করার অনুমতি চেয়ে গত বছর দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিন সমকামী দম্পতি। এঁদের মধ্যে প্রথম যুগল হচ্ছেন দিল্লির দুই মনোবিদ— কবিতা অরোরা এবং অঙ্কিতা খন্না। স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতায় বিয়ের করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। দিল্লির ম্যারেজ রেজিস্ট্রার সেই অনুমতি দেননি। তার পরেই হাইকোর্টে যান তাঁরা।
হাইকোর্টে আবেদনকারী দ্বিতীয় যুগলটি হলেন অনাবাসী ভারতীয় পরাগ বিজয় মেহতা এবং দিল্লির বাসিন্দা বৈভব জৈন। ২০১৭ সালে তাঁরা ওয়াশিংটনে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু নিউ ইয়র্কের ভারতীয় কনসুলেট জেনারেলের কাছে যখন ‘ফরেন ম্যারেজ অ্যাক্ট’-এর আওতায় সেই বিয়ে নথিভুক্ত করতে যান, সেই আবেদন অগ্রাহ্য হয়।
তৃতীয় আবেদনকারীর নাম অভিজিৎ আয়ার মিত্র। তিনি তাঁর আবেদনে জানিয়েছিলেন, সমকামী সম্পর্ককে অনেক দিন স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। কিন্তু সমলিঙ্গের মানুষ যাতে বৈধ ভাবে সংসার করতে পারে, তার জন্য এত দিন ধরে প্রয়োজনীয় আইন আনছে না কেন্দ্রীয় সরকার।
এই তিনটি আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের জবাব তলব করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। আজ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল বলেন, ‘‘দেশে অতিমারি চলছে। অভূতপূর্ব এক পরিস্থিতি। আপতকালীন ভিত্তিতে কাজ করছেন অসংখ্য মানুষ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আইনপ্রণেতারাও। এই অবস্থায় সমলিঙ্গের বিয়ে সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনা সম্ভব নয়।’’ তুষার মেহতার প্রশ্ন, ‘‘এমন তো নয়, এই আইন এখনই না-হলে কারও মৃত্যু ঘটবে। তা হলে এই জরুরি অবস্থায় আমরা এই সব নিয়ে ভাবব কেন!’’