(বাঁ দিকে) বাবা সিদ্দিকি এবং সলমন খান (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
সলমন খান ৫ কোটি টাকা না দিলে তাঁর পরিণতিও হবে বাবা সিদ্দিকির মতো! এমনই হুমকি-বার্তা পৌঁছল মুম্বই পুলিশের কাছে। হুমকি-বার্তা পেয়েই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। হুমকি-বার্তা কারা পাঠাল, এর নেপথ্যে লরেন্স বিশ্নোই গোষ্ঠী রয়েছে কি না, তা যেমন খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তেমনই বলিউড তারকার নিরাপত্তাও নিশ্ছিদ্র রাখতে চাইছে পুলিশ।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, বৃহস্পতিবার মুম্বই ট্র্যাফিক পুলিশের হোয়াট্সঅ্যাপ নম্বরে হুমকি-বার্তাটি পাঠানো হয়। সেখানে লেখা হয়, “সলমন খানের পরিণতি বাবা সিদ্দিকির চেয়েও খারাপ হবে। বিষয়টি হালকা ভাবে নেবেন না। যদি সলমন খান বেঁচে থাকতে চান আর লরেন্স বিশ্নোইয়ের সঙ্গে শত্রুতার অবসান চান, তবে তাঁকে ৫ কোটি টাকা দিতে হবে।” একই সঙ্গে হুঁশিয়ারির সুরে ওই বার্তায় লেখা হয়েছে, “যদি টাকা না দেওয়া হয়, তবে সলমন খানের অবস্থা বাবা সিদ্দিকির চেয়েও খারাপ হবে।”
কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ রয়েছে সলমনের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার প্রতিশোধস্বরূপই বিশ্নোই দল তাঁকে একাধিক বার প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছে। কয়েক মাস আগে বলিউড তারকার বাড়ির সামনে কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার নেপথ্যেও বিশ্নোই গোষ্ঠীর হাত ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়। অন্য দিকে, গত ১২ অক্টোবর মুম্বইয়ের নিকটবর্তী বান্দ্রায় এনসিপি নেতা বাবাকে তাঁর বিধায়ক-পুত্র জিসান সিদ্দিকির দফতরের বাইরে গুলি করে খুন করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেছে।
মুম্বই পুলিশ জানায়, এই খুনের পিছনেও রয়েছে লরেন্স বিশ্নোই দলের হাত। বাবার সঙ্গে বরাবরই সুসম্পর্ক ছিল সলমনের। তাঁর জন্যই শাহরুখ খানের সঙ্গে ফের মিটমাট হয়েছিল সলমনের। বিভিন্ন সমস্যায় বি-টাউনে প্রায়ই মুশকিল আসানের ভূমিকা পালন করে এসেছেন বাবা। প্রতি বছর ইফতারে পার্টির আয়োজন করতেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা বাবা। বলিউডের চাঁদের হাট বসত সেই পার্টিতে।
প্রসঙ্গত, বুধবারই সলমনকে খুনের ছক কষার অভিযোগে হরিয়ানার পানিপথ থেকে সুখ ওরফে সুখবীর বলবীর সিংহ নামে এক জনকে আটক করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এই ব্যক্তি বিশ্নোই দলের সদস্য।
বৃহস্পতিবার নভি মুম্বই পুলিশ চার্জশিটে দাবি করে, সলমনকে খুন করতে ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল ভাড়াটে খুনিকে। শুধু তা-ই নয়, একে ৪৭, একে ৯২ এবং এম ১৬ বন্দুক আনানো হয়েছিল পাকিস্তান থেকে। মহারাষ্ট্রের পানভেলে সলমনের খামারবাড়ির কাছেই তাঁকে খুন করার পরিকল্পনা ছিল। চার্জশিটে পাঁচ জন ভাড়াটে খুনির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যারা লরেন্স বিশ্নোই গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত। চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, সলমনকে খুনের জন্য বাছা হয়েছিল ওই পাঁচ জনকে। যাদের বয়স ১৮ বছরের কম। এই ভাড়াটে খুনিরা পুণে, রায়গড়, নভি মুম্বই, ঠাণে এবং গুজরাতে লুকিয়ে রয়েছে বলেও ওই চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।