Baba Siddique Murder

ফের বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশানকে খুনের হুমকি, নিশানায় সলমনও, নয়ডা থেকে গ্রেফতার হলেন যুবক

শুক্রবার সন্ধ্যায় জিশানের বান্দ্রার অফিসে একটি বেওয়ারিশ নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনে জিশানকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। জিশানের পাশাপাশি খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলিউড অভিনেতা সলমন খানকেও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ১২:১৫
Share:

(বাঁ দিকে) বাবা সিদ্দিকির পুত্র জিশান সিদ্দিকি। অভিনেতা সলমন খান (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি খুনের পর মাসও পেরোতে পারল না। ফের খুনের হুমকি পেলেন অভিনেতা সলমন খান। ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়েছে সিদ্দিকি-পুত্র জিশানকেও। অভিযোগ মেলার দু’দিনের মাথায় অভিযুক্ত যুবককে নয়ডা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ১২ অক্টোবর নিজের দফতরের সামনে আততায়ীদের গুলিতে খুন হন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা (অজিত পওয়ার গোষ্ঠী) বাবা সিদ্দিকি। খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি খুনের হুমকি পেয়েছেন জিশান। তিনি মুম্বইয়ের বান্দ্রা-পূর্ব আসনের বিধায়ক। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর বান্দ্রার অফিসে একটি বেওয়ারিশ নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনে জিশানকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। জিশানের পাশাপাশি খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে সিদ্দিকি-ঘনিষ্ঠ বলিউড অভিনেতা সলমন খানকেও। ঘটনার পরেই নির্মলনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে সিদ্দিকির পরিবার। প্রসঙ্গত, বাবা সিদ্দিকিকে খুনের আগেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। খুনের হুমকি পেয়েছিলেন বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশানও। জেরায় অভিযুক্তেরাও জানান, বাবা-ছেলে দু’জনকেই খুনের ‘নির্দেশ’ ছিল। সামনে যাঁকে পাবেন, তাঁকেই গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো বাবা সিদ্দিকিকে সামনে পেয়ে গুলি চালান আততায়ীরা। জিশান সেই সময় ঘটনাস্থলে থাকলে হয়তো খুন হতে হত তাঁকেও। উল্লেখ্য, সম্প্রতি আনুষ্ঠানিক ভাবে অজিত পওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন জিশান। আসন্ন বিধানসভা ভোটে বান্দ্রা-পূর্ব কেন্দ্রেই তাঁকে প্রার্থী করা হবে বলে জানিয়েছে এনসিপি।

গত ১২ অক্টোবর এই বান্দ্রা-পূর্ব এলাকাতেই খুন হয়েছিলেন বাবা সিদ্দিকি। তিন জন আততায়ী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিলেন। এর পর তদন্তে নেমে একে একে ১৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত ছিলেন কি না, জানতে এখনও চলছে তদন্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement