Saif Ali Khan Attack

সইফের ‘হামলাকারী’ ভেবে মহারাষ্ট্রে যুবককে ‘হেনস্থা’ পুলিশের! চাকরি গেল, ভাঙল যুবকের বিয়েও

বছর ৩১-এর ওই যুবকের নাম আকাশ কৈলাশ কনোজিয়া। ১৭ জানুয়ারি রাতে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে চড়ে বিলাসপুরে হবু স্ত্রীয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন কোলাবার বাসিন্দা আকাশ। তখনই দুর্গ স্টেশনে তাঁকে আটক করেন আরপিএফ কর্মীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:১৩
Share:

মহারাষ্ট্রের সেই যুবক। ছবি: সংগৃহীত।

‘সইফের হামলাকারী’ সন্দেহে যুবককে আটক করেছিল পুলিশ। দীর্ঘ জেরা ও হেনস্থার পরে ছাড়া পান যুবক। এ বার সেই যুবকই অভিযোগের আঙুল তুললেন পুলিশের দিকে। জানালেন, শুধু হেনস্থাই নয়, অভিনেতা সইফ আলি খানের হামলাকারী বলে প্রচারের জেরে খোয়াতে হয়েছে চাকরি, ভেঙেছে বিয়েও।

Advertisement

বছর ৩১-এর ওই যুবকের নাম আকাশ কৈলাশ কনোজিয়া। ১৭ জানুয়ারি রাতে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে চড়ে বিলাসপুরে হবু স্ত্রীয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন কোলাবার বাসিন্দা আকাশ। তখনই দুর্গ স্টেশনে তাঁকে আটক করেন আরপিএফ কর্মীরা। ‘সইফের হামলাকারী’ সন্দেহে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। শুধু তা-ই নয়, আকাশের নাম ও ছবি-সহ একটি প্রেস বিবৃতিও প্রকাশ করে আরপিএফ। সেই ছবিই সমাজমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যম মারফত ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি এমনই হয় যে, চাকরি খোয়াতে হয় ওই যুবককে। ভেঙে যায় বিয়েও।

কোলাবারই এক ভ্রমণ সংস্থায় কাজ করতেন আকাশ। ১৭ জানুয়ারি মুম্বই পুলিশের তরফে ওই যুবক একটি ফোন পান। ফোনের ও প্রান্ত থেকে জানতে চাওয়া হয়, আকাশ বাড়়িতে রয়েছেন কি না। দু’এক দফা প্রশ্নোত্তরের পর ফোন কেটে যায়। এর পর সেই রাতেই আরপিএফের হাতে ধরা পড়েন ওই যুবক। অভিযোগ, কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মীদের বার বার বুঝিয়ে কিংবা প্রমাণ দেওয়ার চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি। আকাশ যে আদৌ সইফের হামলা করেননি, মানতে নারাজ ছিলেন সকলেই। যদিও ভুল বুঝতে পেরে পর দিনই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে তত ক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে!

Advertisement

গত ১৫ জানুয়ারি রাতে সইফের উপর হামলা হয়। ভোরে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় ভর্তি করানো হয় সইফকে। তার পর থেকে বান্দ্রার সৎগুরু শরণ আবাসনে দফায় দফায় তদন্ত করেছেন মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকেরা। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে প্রথমে চার জনকে আটক করে মুম্বই পুলিশ। পরে ঠাণে এলাকার এক শ্রমিক বসতি থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ নামে এক ব্যক্তিকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement