প্রকাশ সিংহ বাদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ নরেন্দ্র মোদীর।—ফাইল চিত্র
মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোটের পর জোট ছেড়ে বিজেপিকে ধাক্কা দিয়েছে শিবসেনা। এ বার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগেই গেরুয়া শিবিরকে ধাক্কা দিল ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)-এর শরিক শিরোমণি অকালি দল (এসএডি)। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে বিরোধিতা জারি ছিল আগে থেকেই। আসন বণ্টন নিয়ে মতবিরোধের জেরে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন থেকেই সরে দাঁড়াল এসএডি।
বিজেপি চেয়েছিল, এসএডি-র দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ছেড়ে তাদের প্রার্থীরা পদ্মফুল চিহ্নে দাঁড়ান। ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও এই একই কৌশলে লড়েছিল এসএডি। কিন্তু, এ বার সেই সমীকরণে নারাজ শিরোমণি অকালি দল। অবশ্য, দিল্লির নির্বাচনে চারটি আসনে অকালি দলের প্রার্থী দেওয়া নিয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছেছিল দুই শরিকই। কিন্তু, তা যে বাস্তবে হচ্ছে না তার আঁচ মেলে সোমবার দিল্লির বিজেপি সভাপতি মনোজ তিওয়ারির কথাতেই। তিনি জানিয়ে দেন, বিজেপি একাই ৬৭ আসনে প্রার্থী দেবে। দু’টি আসনে লড়বে জনতা দল ইউনাইটেড ও একটি আসনে দাঁড়াবেন রামবিলাস পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টির প্রার্থী। অকালি দলের জন্য কোনও আসন বরাদ্দ করা হয়নি বলেও জানিয়ে দেন তিনি। বিজেপি ইতিমধ্যেই ৫৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
অকালি দলের বক্তব্য, আমরা ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার, সিএএ-সহ একাধিক ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারকে সমর্থন করলেও বিজেপি ‘জোট ধর্ম’ পালন করছে না। দলের নেতা মনজিন্দর সিংহ শীর্সার দাবি, ‘‘ধর্মের ভিত্তিতে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া ভুল।’’ অকালি দলের মতো এনডিএ-র অন্যতম পুরনো শরিকের সঙ্গে সিএএ নিয়ে বিজেপির এই বিরোধ প্রথম নয়। গত বছর ডিসেম্বরেই ওই আইন নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন এসএডি-র রাজ্যসভা সাংসদ নরেশ গুজরাল। সেই ফাটল এ বার আরও চওড়া হল।
আরও পড়ুন: মুজফফরপুর হোমে ধর্ষণ মামলায় দোষী ব্রজেশ ঠাকুর-সহ ১৯, সাজা ঘোষণা ২৮ জানুয়ারি
আরও পড়ুন: পথে হল দেরি, মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না কেজরী