Tripura

চাকরি ফেরানোর আশ্বাস ত্রিপুরায় বাম ইস্তাহারে

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীর দাবি, ‘‘কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে সমস্ত অংশের মানুষের কাছে ছুটে যাবার চেষ্টা করছি।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

আগরতলা ও কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৫:১৪
Share:

ইস্তাহার প্রকাশে ত্রিপুরা বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। নিজস্ব চিত্র।

বিধানসভা ভোটে জিতে ক্ষমতায় ফিরলে ১০ হাজার ৩২৩ জন বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাকে চাকরিতে পুনর্বহালের প্রতিশ্রুতি দিল বামফ্রন্ট। সেই সঙ্গেই তাদের আশ্বাস, বেকারদের কর্মসংস্থানের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। এমন কথাই বলা হল বামফ্রন্টের ইস্তাহারে। আদালতের হস্তক্ষেপে শিক্ষকদের চাকরি হারানোর জন্য বামেদেরই দায়ী করে বিজেপি এবং তৃণমূল। ক্ষমতায় ফিরলে সেই শিক্ষকদেরই কাজে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলে ভোটে যাচ্ছে বামফ্রন্ট। তবে মামলার জট কী ভাবে ছাড়ানো হবে, সেই বিষয়ে বিশদে কিছু বলেননি বাম নেতৃত্ব।

Advertisement

আগরতলায় সিপিএমের রাজ্য দফতরে শুক্রবার বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান নারায়ণ কর নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছেন। ওই অনুষ্ঠানে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীর দাবি, ‘‘কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে সমস্ত অংশের মানুষের কাছে ছুটে যাবার চেষ্টা করছি।’’ এর পরে কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের নেতৃত্ব একসঙ্গে বসে যৌথ কর্মসূচিও ঘোষণা করবেন।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী আশিস সাহার প্রচারে বাম কর্মী-সমর্থকেরাও। নিজস্ব চিত্র।

ইস্তাহারে মোট ৮১ দফা বক্তব্য আছে। বিশেষ করে, নতুন এবং যুব অংশের ভোটারদের মন পেতে বামফ্রন্ট নজর দিয়েছে। ইস্তাহারে বলা হয়েছে, বিজেপি সরকারের আমলে পুলিশের পদোন্নতি-সহ নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ফলে, বিরাট অংশের পুলিশের মনে ক্ষোভ রয়েছে। এমনকি, ভিন্ রাজ্যে কর্মরত ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস-এর জওয়ানদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এই রকমের বিভিন্ন সমস্যা নিরসনের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে ইস্তাহারে। জিতেন্দ্রদের দাবি, ত্রিপুরায় কোনও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলই জনজাতিদের কল্যাণে বিশেষ কোনও ছাপ ফেলতে পারেনি। সিপিএমের জনজাতি সংগঠন তাঁদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। জিতেন্দ্রের কথায়, ‘‘ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ অন্যায় ভাবে আটকে রেখে বেকায়দায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা সরকার গড়লে স্বশাসিত পরিষদকে অধিক ক্ষমতা দেওয়া হবে।’’

Advertisement

নির্বাচনে কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের আসন সমঝোতা হয়েছে। এ বার একত্রে প্রচারের কৌশল ঠিক করতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিংহের বাড়িতে গিয়ে বৈঠক করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র। বীরজিৎ বলেন, ‘‘জনগণকে বিজেপি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় বসেছিল। এ বারের ভোটে মানুষ যোগ্য জবাব দেবে!’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘দুই দল মিলে নৌকায় উঠেছি। সবাই মিলেই গন্তব্যে পৌছনোর চেষ্টা করতে হবে। এই বার্তা নেতা থেকে তৃণমূল স্তরের কর্মীদের পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।’’ কলকাতায় এ দিনই সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় একটি আসনে তাঁদের দলের রাজ‍্য সম্পাদক পার্থ কর্মকার লড়বেন। দীপঙ্করের বক্তব্য, ত্রিপুরায় বাম বা বিরোধী সার্বিক ভাবে হয়নি। তবে বিজেপিকে ক্ষমতাচ‍্যুত করার লক্ষ‍্যে তাঁরা বাকি বাম-কংগ্রেস জোট এবং তিপ্রা মথা-কে সমর্থন করবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement