National News

‘স্বাভাবিক ন্যায়বিচার হয়নি’, চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে তোপ অপসারিত অলোক বর্মার

আগামী ৩১ জানুয়ারি ছিল তাঁর অবসরের দিন। কিন্তু সিবিআই ডিরেক্টরের পদ থেকে সরিয়ে দমকলের ডিরেক্টরের পদে বদলি করার জেরে অবসরের ২০ দিন বাকি থাকতেই চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন অলোক বর্মা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৯ ১৬:০৩
Share:

অপসারণের পরই ইস্তফা দিলেন অলোক বর্মা। —ফাইল চিত্র

অবসরের বাকি ছিল মাত্র ২০ দিন। কিন্তু সেই মেয়াদ শেষের আগেই চাকরি থেকেই ইস্তফা দিয়ে দিলেন সিবিআই ডিরেক্টরের পদ থেকে সদ্য অপসারিত অলোক বর্মা। বৃহস্পতিবারই তাঁকে ডিরেক্টর পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্যানেল। ওই প্যানেলে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে। প্রধান বিচারপতির প্রতিনিধি হিসেবে প্যানেলে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এ কে সিক্রি।

Advertisement

আগামী ৩১ জানুয়ারি ছিল তাঁর অবসরের দিন। কিন্তু সিবিআই ডিরেক্টরের পদ থেকে সরিয়ে দমকলের ডিরেক্টরের পদে বদলি করার জেরে অবসরের ২০ দিন বাকি থাকতেই চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন অলোক বর্মা। তবে অপসারণ নিয়ে নিজের ক্ষোভ-অভিমানও চেপে রাখেননি প্রাক্তন সিবিআই অধিকর্তা। বিবৃতি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘স্বাভাবিক ন্যায়বিচার হয়নি। গোটা প্রক্রিয়াটাই এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে আমাকে সরানো যায়।’’

সিবিআই-এর স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার সঙ্গে বিবাদের জেরে গত ২৩ অক্টোবর মধ্যরাতে ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় অলোক বর্মা এবং রাকেশ আস্থানাকে। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেন বর্মা। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ছুটিতে পাঠানোর সেই নির্দেশিকা খারিজ করে দেয়। ফলে পদ ফিরে পান বর্মা। বৃহস্পতিবার দায়িত্বভারও নিয়েছিলেন।

Advertisement

আরও পডু়ন: বিপাকে রাকেশ আস্থানা! ঘুষ মামলার তদন্তে বাধা নেই, বলল দিল্লি হাইকোর্ট

আরও পড়ুন: মঞ্চে ‘লাল সেলাম’ বলে ফেলে জিভ কাটলেন সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া বিধায়ক, হেসে ফেললেন শুভেন্দু!

কিন্তু তার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বৈঠকে বসে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ওই প্যানেল। সেই বৈঠকে বিরোধী দলনেতা অলোক বর্মাকে সরিয়ে দেওয়ার বিরোধিতা করলেও প্রধানমন্ত্রী এবং বিচারপতি এ কে সিক্রি ছিলেন অপসারণের পক্ষে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে বর্মাকে সিবিআই ডিরেক্টরের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তার পর তাঁকে বদলি করে পাঠানো হয় দমকলের অধিকর্তার পদে। কিন্তু সেই পদে গ্রহণ করতে অস্বীকার করে পদত্যগপত্র পাঠিয়ে দেন ১৯৭৯ ব্যাচের আইপিএস অফিসার অলোক বর্মা।

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement