Sachin Pilot

ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা: বিজেপি ।। মহারাষ্ট্রেও ছক পালাবদলের: শিবসেনা

কংগ্রেসে বিভিন্ন রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি-র অধিকাংশ সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে এই অভিযোগ অনেক দিনের।

Advertisement

প্রেমাংশু চৌধুরী

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২০ ০৩:৪৬
Share:

—ফাইল চিত্র।

হয় তাঁদের রাজ্যের নেতারা গুরুত্বই দেন না। না হলে তাঁরা রাজ্যে দলের দুই শিবিরের মধ্যেই বিবাদ বাধিয়ে ফেলেন।

Advertisement

কংগ্রেসে বিভিন্ন রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি-র অধিকাংশ সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে এই অভিযোগ অনেক দিনের। এ বার রাজস্থানে অশোক গহলৌত বনাম সচিন পাইলট দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে ফের এআইসিসি-তে রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত নেতাদের ভূমিকা আতস কাচের তলায়।

সোমবার সচিন পাইলট বিদ্রোহে ইতি টানার পরে সে দিন রাতেই প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা, আহমেদ পটেল ও এআইসিসি-তে সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল সচিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। গুরুদ্বারা রকাবগঞ্জ রোডে কংগ্রেসের ওয়ার রুমের সেই বৈঠকে সচিনের অনুগামী বিক্ষুব্ধ বিধায়কেরাও হাজির ছিলেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, বৈঠকে সচিন ও বাকিরা রাজস্থানের ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি নেতা অবিনাশ পাণ্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁরা বলেন, রাজস্থানে যে মুখ্যমন্ত্রী গহলৌতের সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী সচিনের ঠান্ডা যুদ্ধ চলছে, পাণ্ডে তার সবই জানতেন। পাইলট শিবিরের নেতারা পাণ্ডের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, গহলৌত তাঁদের কোণঠাসা করে ফেলছেন। কোনও কাজের কৃতিত্ব দিচ্ছেন না। কিন্তু পাণ্ডে কংগ্রেস হাইকমান্ডকে তাঁর কিছুই জানাননি। নিজেও কোনও পদক্ষেপ করেননি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার জয়পুরে কংগ্রেসের বিধায়কদের বৈঠকে বিদ্রোহের শেষে এই প্রথম অশোক গহলৌত-সচিন পাইলটের মুখোমুখি দেখা হতে পারে। তার জন্য পাণ্ডের সঙ্গে অজয় মাকেন ও বেণুগোপালকে দিল্লি থেকে জয়পুরে পাঠানো হচ্ছে। বুধবার এআইসিসি-র এক নেতা বলেন, “গহলৌত-পাইলটের বিবাদ প্রকাশ্যে আসার পরে গহলৌত নিজেই বলেছেন, গত দেড় বছর পাইলটের সঙ্গে তাঁর বাক্যালাপ ছিল না। রাজস্থানের ভারপ্রাপ্ত নেতা হিসেবে পাণ্ডের তা জানার কথা। না-জানলে বা জেনেও কিছু না-করে থাকলে সেটা তাঁর ব্যর্থতা।” ওই নেতা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, এর আগে রাহুল-ঘনিষ্ঠ অশোক তানওয়ারও দল ছাড়ার আগে এআইসিসি-র ভারপ্রাপ্ত নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। তানওয়ার বলেছিলেন, কংগ্রেসের তথাকথিত নবীন বনাম প্রবীণের লড়াইয়ের মূলে রয়েছেন এআইসিসি-র ভারপ্রাপ্ত নেতারা। তাঁরা রাজ্যের রাজনীতির আটঘাট বোঝেন না। সমন্বয়ের কাজটাও করেন না। দুই গোষ্ঠীর বিবাদে না তাঁরা মধ্যস্থতা করেন, না দিল্লিকে জানান।

কংগ্রেস সূত্রের ব্যাখ্যা, পাণ্ডেকে সামনে রেখে এই দ্বন্দ্ব মেটানো যাবে না বুঝেই তাঁকে বাদ দিয়ে প্রিয়ঙ্কা, আহমেদ, বেণুগোপালরা নিজেরা সক্রিয় হন। পাণ্ডে তার বিন্দুবিসর্গও জানতেন না। রবিবার রাতে যখন দিল্লিতে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সচিনের সঙ্গে দৌত্যে ব্যস্ত, তখন পাণ্ডে জৈসলমেঢ়ে কংগ্রেসের বিধায়কদের বৈঠকে বলেন, তিনি হাইকমান্ডের কাছে সচিন ও বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের শাস্তিরই সুপারিশ করবেন। আজ গহলৌত ফের জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে থাকা বিধায়কেরা হতাশ। কিন্তু তিনি তাঁদের সহনশীল হতে বলেছেন।

কংগ্রেসের বিবাদ মিটতে রাজস্থানের বিজেপি বিধায়কদের দর কমে গিয়েছে। আস্থা ভোটের কথা ভেবে তাঁদের চাটার্ড বিমানে গুজরাত নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এখন আস্থা ভোটে লাভ নেই বুঝে তাঁদের বলা হয়েছে— বাসে, ট্রেনে, নিজের মতো বন্দোবস্ত করে রাজ্যে ফিরতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement