প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
দলের শীর্ষস্তরে একাধিক সাংগঠনিক রদবদল করল কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে। তাঁর জায়গায় এলেন অবিনাশ পান্ডেকে। রাজস্থানের সচিন পাইলটকে ছত্তীসগঢ়ের দায়িত্বে আনা হল। পর্যবেক্ষক পদে বদল করা হল বাংলাতেও। সেখানে এ চেল্লা কুমারের বদলে দায়িত্বে এলেন জম্মু ও কাশ্মীরের নেতা গুলাম আহমেদ মীর। লোকসভা নির্বাচনের আগে দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করতেই সাংগঠনিক এই রদবদল বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর।
শনিবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে প্রিয়ঙ্কার নামের পাশে লেখা হয়েছে, “কোনও সুর্নিদিষ্ট দায়িত্বে থাকছেন না।” রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, লোকসভার আগে যাতে প্রিয়ঙ্কা গোটা দেশে ঘুরে ঘুরে প্রচার করতে পারেন, তার জন্যই তাঁকে নির্দিষ্ট কোনও রাজ্যের দায়িত্বে রাখা হচ্ছে না। বাংলার দায়িত্ব থেকে সরানো হলেও চেল্লা কুমারকে মেঘালয়, মিজ়োরাম এবং অরুণাচল প্রদেশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কিছু দিন আগেই মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হয়েছে কংগ্রেস। নির্বাচনী ‘ব্যর্থতা’র অভিঘাতে ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সভাপতি পদে বদল আনা হয়েছে। কমল নাথের বদলে আনা হয় তুলনায় নবীন জিতু পটওয়ারিকে। এ বার সে রাজ্যে পর্যবেক্ষক পদে আনা হল জিতেন্দ্র সিংহকে। রাজস্থানে পর্যবেক্ষক হলেন সুখজিন্দর সিংহ রণধাওয়া।
কেসি বেণুগোপাল অবশ্য আগের মতোই সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদে রইলেন। রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ দীপা দাশমুন্সিকে দেওয়া হল কেরল, লক্ষদ্বীপ এবং তেলঙ্গানার দায়িত্ব। গুজরাতের দায়িত্ব পেলেন মুকুল ওয়াসনিক।