ফাইল চিত্র।
কলম্বোর মাটিতে দাঁড়িয়ে বিমস্টেক-এর বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে আজ সন্ত্রাসবাদ এবং সামগ্রিক চরমপন্থার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ডাক দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।কলম্বোতেই এ বার আয়োজিত হচ্ছে বিমস্টেক। আজ ছিল বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। আগামিকাল শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে ভিডিয়ো মাধ্যমে উপস্থিত থাকবেন এই গোষ্ঠীভূক্ত রাষ্ট্রগুলির শীর্ষ নেতারা।
এ দিন তাঁর বক্তৃতায় ইউক্রেন প্রসঙ্গের উল্লেখ করেন জয়শঙ্কর। বলেন, “আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা, এমনকি সুস্থিতি ধরে রাখাটাও এখন সহজ বিষয় নয়। গোটা বিশ্বই বিরাট চ্যলেঞ্জের ভিতর দিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক অতীতে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি। কোভিডের বিপদ এখনও কাটেনি। কিন্তু তার মধ্যেই ইউক্রেন পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক অস্থিরতা তৈরি করেছে।”
ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে সার্ক সম্মেলন কার্যত অকেজো হয়ে পড়েছে। এই সময়ে বিমস্টেক-এর মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা গড়ে তুলতে চাইছে নয়াদিল্লি। বিমস্টেক-এ চিন বা পাকিস্তান নেই। ফলে এই গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিয়ে কৌশলগত এবং বাণিজ্যিক সুবিধা আদায় করা ভারতের পক্ষে সহজ। জয়শঙ্কর বলেছেন, “বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বাড়াতে হবে বিমস্টেকভূক্ত রাষ্ট্রগুলির নিজেদের মধ্যে। মারাত্মক অর্থনৈতিক ধাক্কা এলে যাতে সামলানো সহজ হয়।” এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপগুলি করার কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী।
জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, আগামিকাল সদস্য দেশগুলির নেতারা বিমস্টেক প্রস্তাব গ্রহণ করবেন। তাঁর কথায়, “সন্ত্রাসবাদ দুনিয়াকে যে চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলেছে তাকে খাটো করে দেখার কোনও কারণ নেই। আন্তঃরাষ্ট্র অপরাধ, মাদক চোরাচালান, সাইবার অপরাধের মতো বিষয়গুলি সবার জন্যই উদ্বেগের।”