S Jaishankar

মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে কাতার, প্রাক্তন নৌসেনা কর্তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন জয়শঙ্কর

ইজ়রায়েলের হয়ে চরবৃত্তি করার অভিযোগে নৌসেনার আট জন প্রাক্তন কর্তাকে প্রাণদণ্ড দেয় কাতারের একটি আদালত। সোমবার ওই আট জনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:০৯
Share:

এস জয়শঙ্কর। —ফাইল চিত্র।

চরবৃত্তির অভিযোগে ভারতের নৌসেনার আট জন প্রাক্তন কর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে কাতারের একটি আদালত। এই পরিস্থিতিতে সোমবার ওই আট জনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি জানিয়েছেন, ওই আট জনকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে ‘সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে’ ভারত।

Advertisement

সোমবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) জয়শঙ্কর লেখেন, “কাতারে বন্দি আট ভারতীয় নাগরিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি। জানিয়েছি যে সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখছে।” একই সঙ্গে ওই পরিবারগুলিকে সমবেদনা জানানোর কথা বলে জয়শঙ্কর লেখেন, “ওই পরিবারগুলির দুঃখ এবং যন্ত্রনার দিকটি ভাগ করে নিয়েছি আমরাও। আমরা প্রতিনিয়ত ওই পরিবারগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।

ইজ়রায়েলের হয়ে চরবৃত্তি করার অভিযোগে নৌসেনার আট জন প্রাক্তন কর্তাকে প্রাণদণ্ড দেয় কাতারের একটি আদালত। প্রায় এক বছর ধরে নৌসেনার ওই আধিকারিকদের বন্দি করে রেখেছে কাতার। মৃত্যুদণ্ডের খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই এই নিয়ে বিবৃতি দেয় ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। বিষয়টিতে বিস্ময় প্রকাশ করে মন্ত্রক জানায়, সম্ভাব্য সব ধরনের আইনি পদক্ষেপ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।

Advertisement

কাতার প্রশাসনের একটি সূত্র মারফত জানা যায়, সে দেশের সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজে নিযুক্ত একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ওই আট আধিকারিক। ওই আট জনের মধ্যে কেউ কেউ অত্যন্ত গোপন এবং স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কাজ করতেন বলেও জানিয়েছে ওই সূত্রটি। কিন্তু পরে ওই আট জনের বিরুদ্ধে ইজ়রায়েলের হয়ে চরবৃত্তি করা এবং গোপন তথ্য পাচার করার অভিযোগ ওঠে। ২০২২ সালের অগস্ট মাসে আট জনকে গ্রেফতার করে জেলবন্দি করা হয়।

তবে কূটনৈতিক স্তরে অভিযুক্তেরা যাতে ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারে, তার বন্দোবস্ত করে দিয়েছিল কাতার। তাঁদের মুক্তির জন্য সম্প্রতি একাধিক বার উদ্যোগী হয় ভারত। কিন্তু নয়াদিল্লির সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে শুরু হয় বিচারপ্রক্রিয়া। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, “মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার নির্দেশে আমরা বিস্মিত। আমরা আদালতের বিস্তারিত নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছি। আট জনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আইনগত সব দিক খতিয়ে দেখার জন্যও পরামর্শদাতাদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।” ওই বিবৃতিতে নয়াদিল্লির তরফে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে, বিষয়টি ‘স্পর্শকাতর’। তাই কী কারণে এই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল, সে বিষয়ে সবিস্তারে কিছু জানানো হয়নি বিবৃতিতেও।

বর্তমানে কাতারে যে নৌসেনার যে আট জন প্রাক্তন আধিকারিক জেলবন্দি, তাঁরা হলেন ক্যাপ্টেন নবতেজ সিংহ গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার বর্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ঠ, ক্যাপ্টেন অমিত নাগপাল, কম্যান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কম্যান্ডার সুগুণাকর পাকালা, কম্যান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত এবং নাবিক রাগেশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement