দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুর খুন হওয়ার দশ দিন পরে সোমবার ফের খুলল গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। কিন্তু অভিভাবকদের আতঙ্ক কাটেনি। তাঁদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে না দেখেই স্কুল চালু করলেন।
প্রদ্যুম্নের বাবা বরুণ ঠাকুর সোমবার বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে না দেখে স্কুল খোলার মানে আশঙ্কা থেকে যাওয়া। তা ছাড়া সিবিআই তদন্ত এখনও শুরু হয়নি। তার আগেই স্কুল খোলায় প্রমাণ নষ্টের আরও সুযোগ তৈরি হবে, এমনটাই দাবি বরুণের। প্রদ্যুম্নের বোনকেও এই স্কুলে পাঠানোর কথা ভাবলে কেঁপে উঠছেন তিনি। আতঙ্কে রয়েছে পড়ুয়ারাও। সোমবার প্রদ্যুম্নের সহপাঠীদের মধ্যে মাত্র চার জন স্কুলে এসেছিল। দু’জনকে দিতে এসেছিলেন তাদের বাবা-মা। কিন্তু অভিভাবকদের দাবি, অধিকাংশ পড়ুয়ার মনেই গেড়ে বসেছে মারাত্মক ভয়। প্রদ্যুম্নকে যেখানে মারা হয়েছে, সেই শৌচাগারে যেতে হবে ভাবলে শিউরে উঠছে ওরা।
স্কুল কর্তৃপক্ষ সোমবার বলেন, ‘‘স্থানীয় প্রশাসনের কাছে স্কুল খোলার অনুমতি পেয়েছি। তাই সোমবার থেকে পড়াশোনা শুরু হয়েছে।’’ মঙ্গলবার পরীক্ষাও হবে। স্কুলের নয়া প্রিন্সিপ্যাল হয়েছেন সাবু আত্তিকাল। ভাইস প্রিন্সিপ্যাল হয়েছেন সন্ধ্যালাল দাস। কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, স্কুলে অনেক কাউন্সেলর থাকবেন। শিক্ষক-শিক্ষিকারাও পড়ুয়াদের মন থেকে ভয় দূর করতে অতিরিক্ত যত্ন নেবেন।
সুপ্রিম কোর্ট এ দিন গুরুগ্রামের জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের নির্দেশ দেয়, বিশেষ বিচারকের কাছে যাওয়ার আগে পর্যন্ত প্রদ্যুম্ন খুনের মামলার বিচারের প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি না করতে। কারণ ওই সদস্যরা আগে বলেছিলেন, এই মামলায় কোনও অভিযুক্তের হয়ে লড়বেন না কোনও আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে, অভিযুক্ত যত বড় অপরাধই করুক, আইনজীবী পাওয়া তার অধিকার। যার ফলে অভিযুক্ত খালাসি অশোক কুমার এ বার নিজের জন্য আইনজীবী নিয়োগ করার সুযোগ পাবে।