তাজমহলকে দ্রুত বকেয়া মেটানোর নির্দেশ। ফাইল চিত্র।
এক কোটি টাকার সম্পত্তি এবং জলকরের নোটিস পাঠানো হল তাজমহল কর্তৃপক্ষকে। এই বকেয়া দ্রুত মেটানোর নির্দেশ দিয়ে নোটিস পাঠিয়েছে আগরা পুরনিমগম। বকেয়া যে বিল তাজমহল কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে তা ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের, নোটিসে এমনটাই জানিয়েছে পুরনিগম। শুধু তাই-ই নয়, পুরনিগম হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে এই বকেয়া না মেটালে সম্পত্তি ‘বাজেয়াপ্ত’ করা হবে।
তাজমহলের তত্ত্বাবধানে যারা রয়েছে, সেই ভারতীয় সর্বেক্ষণ বিভাগ (এএসআই) বকেয়া টাকা মেটানোর নোটিস পেয়ে স্তম্ভিত। তাদের দাবি, ৩৭০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কর দেওয়ার জন্য নোটিস পেল তাজমহল। তবে এটা ভুলবশত পাঠানো হয়েছে বলেই মনে করছে এএসআই।
এক সংবাদমাধ্যমকে এএসআইয়ের এক শীর্ষ আধিকারিক রাজকুমার পটেল জানিয়েছেন, তাজমহল এবং আগরা ফোর্টকে বকেয়া মেটানোর জন্য ৩টি নোটিস পাঠানো হয়েছে। যার পরিমাণ ১ কোটি টাকার বেশি। পটেল বলেন, “আমাদের মনে হয়, এই ধরনের নোটিস ভুল করে পাঠানো হয়েছে। কোথাও একটা ভুল হয়েছে। প্রথমত, কোনও সৌধের ক্ষেত্রে সম্পত্তি কর প্রযোজ্য নয়। উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের অন্যান্য রাজ্যের আইনে এ বিষয়ে উল্লিখিত আছে।”
কেন জলকর চাওয়া হল, সে বিষয়টিও স্পষ্ট নয় বলে দাবি পটেলের। তাঁর কথায়, “এ ধরনের দাবি আগে কখনও করা হয়নি। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে আমরা জল ব্যবহার করি না।” সুতরাং তার পরেও এ ধরনের নোটিস কেন পাঠানো হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পটেল। তিনি জানান, এর আগেও ৫ কোটি টাকা করের নোটিস পাঠিয়েছিল ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড। তবে এএসআই সৌধ সংক্রান্ত সরকারি আইন অনুযায়ী জবাব দিয়েছিল।