এনপিআর।
প্রশ্ন ঘিরে তো বিতর্ক ছিলই, এ বার শাস্তিকে কেন্দ্র করে বিতর্কে এনপিআর। যাকে শুরু থেকেই এনআরসি-র প্রথম ধাপ হিসাবে দেখছেন বিরোধীরা।
অমিত শাহদের দাবি, এনপিআরে তথ্য দেওয়া আবশ্যিক নয়। কেউ না চাইলে তথ্য নাও দিতে পারেন। অন্য দিকে নিয়ম বলছে, তথ্য দেওয়ার শেষে হলফনামা দিয়ে কোনও ব্যক্তিকে স্বাক্ষর করে মেনে নিতে হবে যে, তিনি যে তথ্য দিলেন তা ঠিক। এখানেই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। হলফনামা দিয়ে তথ্য গোপন করার অপরাধে কি তখন তাঁর শাস্তি হবে? নাকি তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে, সে নিয়ে স্পষ্ট দিশা-নির্দেশ নেই সরকারের কাছে। যদিও স্বরাষ্ট্র কর্তাদের একাংশের মতে, হলফনামা দিয়ে কোনও ব্যক্তি তথ্য গোপন করার অপরাধে ধরা পড়লে, সে ক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন রেজিস্ট্রার জেনারেল অ্যান্ড সেন্সাস কমিশনার (আরজিসিসিআই)। আজ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষেণ রেড্ডি আবার শাস্তির প্রসঙ্গটি এড়িয়ে গিয়ে জানান, ‘‘এনপিআর-এ তথ্য দেওয়া আবশ্যিক নয়। ঐচ্ছিক।’’
প্রায় ১৩টি রাজ্য সুর চড়িয়েছে। এনপিআর-বিরোধী প্রস্তাব পাশ করেছে কেরল-পঞ্জাব। প্রস্তাব আনতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গও। রেড্ডির যুক্তি, ‘‘এনপিআর কংগ্রেসের আমলে শুরু হয়েছিল। এটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। রাজ্যগুলির এতে বাধা দেওয়া উচিত নয়। বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনে কেন্দ্র আবার রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলবে।’’ জনগণনার প্রথম পর্বের সঙ্গেই এনপিআর-এর কাজ সেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার।