Read Gita

সন্তান হবে সংস্কারি, দেশভক্ত! অন্তঃসত্ত্বাদের রামায়ণ, গীতা শোনাবে সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ সংগঠন

আরএসএস স্বীকৃত সংগঠনটি ‘গর্ভ সংস্কার’ প্রকল্পে গোটা দেশকে পাঁচ ভাগে ভাগ করেছে। প্রতিটি ভাগে ১০ জন করে চিকিৎসকের একটি করে দল থাকবে। তাঁরাই প্রকল্পটির বাস্তব রূপায়ণ করবেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২৩ ১৯:২৬
Share:

— প্রতীকী ছবি।

সন্তানকে দেশভক্ত এবং সংস্কারি বানাতে প্রশিক্ষণ শুরু হবে মায়ের পেটেই। সম্প্রতি এমন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) একটি শাখা সংগঠন। ‘সংবর্ধিনী ন্যাস’ নামে সংগঠনটি এই পরিকল্পনার নাম দিয়েছে ‘গর্ভ সংস্কার’ প্রকল্প। এই প্রকল্পে অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের গীতা, রামায়ণ পড়তে এবং সংস্কৃত শ্লোক আবৃত্তিতে উৎসাহ দেওয়া হবে।

Advertisement

সন্তানকে দেশভক্ত এবং সংস্কারি করে গড়ে তোলাই এই প্রকল্পের মূল কথা। সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ সংগঠনটির দাবি, তাদের এই পরিকল্পনা সম্পূর্ণ ভাবে বিজ্ঞানসম্মত। শনিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সংগঠনের অন্যতম এক পদাধিকারী বলেছেন, ‘‘বিজ্ঞানে প্রমাণিত যে, গর্ভে চার সপ্তাহ থাকার পর থেকেই ভ্রূণের কানে শোনার ক্ষমতা তৈরি হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে এই প্রকল্প অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের তাঁর গর্ভস্থ সন্তানের সঙ্গে কথা বলার রাস্তা দেখাবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা মায়েদের বোঝাবো, সেই সময় কী করে আসন্ন শিশুর পরিবারের কথা, ভারতের কথা, যে রাজ্যে তারা থাকবে তার কথা এবং ভারতের মহাপুরুষদের জীবনী শোনানো যায়।’’

প্রকল্প অনুযায়ী, অন্তসত্ত্বাকে গীতা, রামায়ণ পড়ানো হবে। তাঁকে সংস্কৃত শ্লোক আবৃত্তিও করানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সংগঠন সূত্রে খবর, এই প্রকল্প নিয়ে সারা দেশেই নামা হবে। সংবর্ধিনী ন্যাসের অন্তর্গত চিকিৎসকেরা থাকবেন প্রকল্পের পুরোভাগে। তাঁরাই অন্তঃসত্ত্বা মা এবং তাঁর পরিবারকে বোঝাবেন, কী করে সংস্কারি এবং দেশভক্ত বাচ্চার জন্ম দেওয়া সম্ভব। সংগঠন সূত্রে খবর, এ জন্য গোটা দেশকে মোট পাঁচ ভাগে ভাগ করা হচ্ছে। প্রতিটি ভাগে থাকবেন ১০ জন চিকিৎসকের একটি করে দল। তাঁদের হাত দিয়েই প্রকল্পটির রূপায়ণ হবে। সংবাদ সংস্থাকে ওই সংগঠনের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় ভাবে একটি আট সদস্যের দল তৈরি করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি সামগ্রিক ভাবে সেই দলই দেখবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement