ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে বাঘটিকে ধরে নামেরি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে ছাড়া হয়েছে। ছবি: টুইটার।
তার শক্তি, ক্ষমতা প্রশ্নের ঊর্ধ্বে। তবু কিছু সময় সেই বাঘই এমন বিপদে পড়ে যে, উদ্ধারের জন্য নির্ভর করতে হয় মানুষের উপর। অসমের এই বাঘটিও পড়েছিল। প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে সে সাঁতরেছিল ব্রহ্মপুত্র নদ। তার পর আশ্রয় নিয়েছিল একটি দ্বীপের মধ্যে গুহায়। সেখানেই আটকে পড়েছিল সে। এ বার তাকে উদ্ধার করে আবার বনভূমিতে ফেরানো হল।
দিন কয়েক আগে সমাজমাধ্যমে বেশ কিছু ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। তাতে দেখা গিয়েছিল, একটি রয়্যাল বেঙ্গল বাঘ ব্রহ্মপুত্র নদে সাঁতরে চলেছে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে সাঁতরেছিল বাঘটি। তার পর উমানন্দ দ্বীপে গিয়ে পৌঁছয়। দ্বীপে একটি গুহার ফাঁকে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছিল বাঘটি। সেখানেই আটকে ছিল বেশ কয়েক দিন।
গত মঙ্গলবার সকালে উমানন্দ মন্দিরের কর্মীরা বাঘটিকে প্রথম দেখে। খবর দেয় বন দফতরে। বন দফতরের কর্মীদের ধারণা, ওই দ্বীপ থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে ওরাঙ্গ জাতীয় উদ্যানে থাকে বাঘটি। তাঁরা মনে করছেন, ব্রহ্মপুত্রের স্রোতেই সে ভেসে এসেছিল।
শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েছে বাঘটি। বনকর্মীদের কেউ জখম হননি। ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে তাকে ধরে নামেরি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে ছাড়া হয়েছে। বাঘটিকে বনে ছাড়ার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন ‘ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস’-এর অফিসার সুশান্ত নন্দা। তিনি জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদে প্রায় ৫০ কিলোমিটার সাঁতরে উমানন্দ দ্বীপে পৌঁছেছিল বাঘটি। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।