৭২ ঘণ্টার মধ্যেই ইস্তফাপত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত মুর্শিদাবাদের মালিহাটি পঞ্চায়েতের পদত্যাগী সদস্যদের। নিজস্ব ছবি।
আবাস যোজনা নিয়ে বিতর্কের আবহে ‘জনরোষ’-এর আশঙ্কায় পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের মালিহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান-সহ পঞ্চায়েতের ১৭ জন সদস্য। তার পর ৭২ ঘণ্টা যেতে না যেতেই তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন ওই ১৭ জনের মধ্যে ১১ জন। তবে প্রধান ও উপপ্রধান-সহ ৬ জন অবশ্য এখনও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়।
শনিবার ভরতপুর-২ ব্লকের বিডিওর কাছে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সদস্যদের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল জেলার রাজনীতি। তৃণমূল সূত্রে খবর, সোমবার তাঁদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন দলের জেলা নেতৃত্ব। সেই বৈঠকের পরেই ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্য পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পদত্যাগী সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী শাওনি সিংহ রায় বলেন, ‘‘১১ জন ইতিমধ্যেই পদত্যাগ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাকি ৬ জনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তাঁরাও আমাদের দলের সদস্য। আশা করছি, মঙ্গলবারের মধ্যে তাঁরাও ইস্তফা প্রত্যাহার করবেন।’’
গত শনিবার আবাস প্লাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে গ্রামে ‘ক্ষোভের’ আবহে গণইস্তফা দেন ওই পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান-সহ ১৭ জন সদস্য। মালিহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সৈয়দ নাসিরউদ্দিনকে বলতে শোনা যায়, ‘‘যাঁরা ঘর পাওয়ার উপযুক্ত, তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাড়ায় গেলে মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হবে। আত্মরক্ষার্থেই আমরা পদত্যাগ করলাম। বাড়িতে পরিবার আছে। পাড়ার লোকজন ওদের ঘিরে ধরে মারলে কী হবে? আমাদের নিরাপত্তা কে দেবে? জনরোষের ভয়েই পদত্যাগ করেছি।’’
উপপ্রধান মনিকা দাস বলেন, ‘‘মাটির বাড়ি যাঁদের, তাঁরা ঘর পাচ্ছেন না। আর যাঁদের পাকা বাড়ি, তাঁরা দুটো-তিনটে করে পাচ্ছে। মানুষ কেন শুনবে? আমাদের তো পেটাবেই!’’ যদিও এই ইস্তফা নিয়ম মেনে হয়নি বলেই দাবি করেছেন বিডিও আশিস মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘ছুটির দিনে এই ধরনের সরকারি চিঠি গ্রহণ করা যায় না কি?’’