মাংস-ভাত না পেয়ে ডিমের দাবি, না পেয়ে নিরামিষ হোটেলের কর্মীকে মারধরের অভিযোগ দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
নিরামিষ হোটেলে ঢুকে আমিষ খাবার চেয়ে হুলস্থুল বাঁধালেন দুই পুলিশ কর্মী। প্রথমে মাংস-ভাত চেয়ে হোটেলকর্মীদের সঙ্গে বচসা জোড়েন। যখন তাঁদের জানানো হয় যে, নিরামিষ হোটেলে ওই পদ মেলে না, তখন ডিম-ভাত খেতে চান দুই কনস্টেবল। তাঁরা দাবি করেন, ডিম নিরামিষ খাবার। ঝামেলার চোটে হোটেলের অন্য খরিদ্দাররা উঠে যান। শেষমেশ দুই পুলিশকর্মীকে পুলিশই এসে নিয়ে যায় বলে খবর। চেন্নাইয়ের ঘটনা।
হোটেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ দুই পুলিশকর্মী তাঁদের হোটেলে খেতে ঢোকেন। প্রথমে মাংস-ভাত খেতে চেয়ে হোটেলকর্মীদের হাঁকডাক শুরু করেন। কিন্তু ওয়েটার জানান, তাঁরা নিরামিষ খাবারের হোটেলে এসেছেন। এখানে আমিষ পদ মেলে না। শুনে গম্ভীর হয়ে যান দুই পুলিশকর্মী। এর পর তাঁরা ডিম-ভাত চান। তখন কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন হোটেল কর্মীরা। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে তাকিয়ে থাকেন তাঁরা। এতে নাকি ক্ষেপে যান পুলিশকর্মীরা। তাঁদের দাবি, ডিম নিরামিষ। এবং তাঁদের ডিম-ভাত দিতেই হবে। বেশ কিছু ক্ষণ বিতণ্ডা চলে। হোটেলকর্মীদের দুই পুলিশকর্মী হুমকি দেন বলে অভিযোগ।
হোটেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, দুই পুলিশকর্মীই মত্ত অবস্থায় ছিলেন এবং তাঁরা সাদা পোশাকে এসেছিলেন। দু’জন বার বার বলতে থাকেন, ‘‘ডিম তো নিরামিষ খাবার।’’ এ নিয়ে তর্কাতর্কি শুরু হয়। অভিযোগ, এর পর এক হোটেলকর্মীকে মারধর করেন পুলিশকর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।
পরে দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে চেন্নাইয়ের সেলাইয়ুর থানার পুলিশ। হোটেল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, তাঁরা কোনও লিখিত অভিযোগ করেননি। হোটেলকর্মীকে মারধরের নিন্দা করেছেন তাঁরা। অন্য দিকে, পুলিশ জানাচ্ছে, ঠিক কী ঘটেছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।