দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই রোপওয়ে। —নিজস্ব চিত্র।
দেওঘরের ত্রিকূট পাহাড়ে ভয়াবহ রোপওয়ে দুর্ঘটনা। তার জেরে দুই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন ১০ জন। আহতদের মধ্যে মহিলা এবং শিশুও রয়েছে। রবিবার বিকেলে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তার পর থেকে সোমবার বেলা পর্যন্ত ৪৭ জন ওই রোপওয়েতে ঝুলছেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তলব করা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও। পাশাপাশি নামানো হয়েছে সেনা এবং আধাসেনাকেও। উদ্ধারকাজে নেমেছে বায়ুসেনার দু’টি কপ্টার।
দেওঘরে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে যাওয়ার জন্য ওই রোপওয়ে ব্যবহার করা হয়। পর্যটকদের কাছে এই রোপওয়ে যাত্রা বেশ জনপ্রিয়ও। প্রাথমিক ভাবে খবর পাওয়া গিয়েছে, রবিবার বিকেলে ত্রিকূট পাহাড়ের ওই রোপওয়ের দু’টি ট্রলিতে সংঘর্ষ ঘটে। তার জেরে দুই পর্যটকের মৃত্যু হয়। এবং ১২টি ট্রলিতে আটকে পড়েন মোট ৪৮ জন পর্যটক। তাঁরা রাতভর ওই রোপওয়েতে ঝুলছেন। উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে বায়ুসেনার কপ্টার। তবে প্রবল হাওয়ার জেরে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। আপাতত বন্ধ রয়েছে রোপওয়ে পরিষেবা।
সোমবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আটকে পড়া পর্যটকের কাছে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া যায়নি। রবিবার বিকেলে দুর্ঘটনার পরেও ঘটনাস্থলে কোনও সরকারি আধিকারিক বা রাজ্যের মন্ত্রী পৌঁছননি বলে অভিযোগ। যদিও সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী হাফিজুল হাসান। তাঁর কথায়, ‘‘সকাল থেকে উদ্ধারকাজ চলছে। আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছচ্ছি।’’ ঝাড়খণ্ডের পর্যটন দফতরের সচিব অমিতাভ কৌশল বলেন, ‘‘ট্রলিতে ৪৮ জন এখনও আটকে রয়েছেন। এ ছাড়া ১০ জন আহত হয়েছেন। আপাতত এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।’’ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে বলে ঝাড়খণ্ড রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।