ভয়ার্ত: কপ্টারে উদ্ধার করা হচ্ছে এক শিশুকে। মঙ্গলবার। ছবি পিটিআই।
দেওঘরের ত্রিকূট পাহাড়ে কেব্ল কার দুর্ঘটনায় তিন জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছিল গত কাল। এই নিয়ে আজ সব রাজ্যের মুখ্যসচিবের উদ্দেশে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভল্লা। ওই নির্দেশিকায় তিনি যে সব রাজ্যে রোপওয়ে রয়েছে, সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণেপ দিকে নজর দিতে বলেছেন। তৈরি করতে বলেছেন বিশেষ রক্ষণাবেক্ষণের ম্যানুয়ালও।
গত কাল মৃত তিন জনের মধ্যে এক জন প্রাণ হারিয়েছিলেন উদ্ধারের সময়ে। আটকে পড়া কেব্ল কার থেকে হেলিকপ্টারে তোলার সময়ে ভারসাম্য হারিয়ে দেড় হাজার ফুট নীচে পাহাড়ি খাদে পড়ে মারা যান ওই ব্যক্তি।
আজও প্রায় একই ভাবে উদ্ধারকার্যের সময়ে হেলিকপ্টার থেকে দড়ি ছিঁড়ে নীচের পাথুরে জমিতে পড়ে গুরুতর জখম হন শোভা দেবী নামের এক মহিলা পর্যটক। ৬০ বছরের ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মাথায় চোট পেয়েই প্রাণ হারান ওই মহিলা। সংবাদমাধ্যমে তাঁর দড়ি ছিঁড়ে পড়ে যাওয়ার ভিডিয়ো দেখে শিউরে উঠেছেন নেটিজেনরা।
গত কাল বিকেল চারটে পর্যন্ত আটকে পড়া পর্যটকদের মধ্যে ২০ জনকে উদ্ধারের পরে সন্ধে হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকাজ স্থগিত রেখেছিল প্রশাসন। আজ ভোর থেকেই ফের উদ্ধারকাজ শুরু হয়। বাকি পর্যটকেদের সকলকেই উদ্ধার করা গিয়েছে। এই পর্যটকেরা প্রায় ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে শূন্যে আটকে ছিলেন। সংবাদমাধ্যমকে এক পর্যটক জানিয়েছেন, তাঁদের আশঙ্কা ছিল, আজ আরও দীর্ঘ সময় হয়তো আটকে থাকতে হবে কেব্ল কারে। ঘটনায় আহতদের দেওঘর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রায় ৭৬৬ মিটার দীর্ঘ ওই রোপওয়েতে চার জন করে নিয়ে ২৫টি কেব্ল কার চলে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা, প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্যই এই দুর্ঘটনা। এ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু হয়েছে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টে। এ বিষয়ে বিশেষ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।