রোলস রয়েজ। বিশ্বের অন্যতম দামী এবং বিলাসবহুল গাড়ির তালিকার একেবারে উপরের দিকেই থাকবে এই গাড়ি। যে গাড়িতে একবার চড়লেই স্বপ্ন সার্থক হয় বেশির ভাগ মানুষের, তা দিয়ে কি না জঞ্জাল সাফাই! চমকে উঠলেও এমনই এক কাণ্ড ঘটেছিল একশো বছর আগে। আর তা ঘটেছিল এই দেশেই।
ঘটনাটা ১৯২০ সালের। নিছক ছুটি কাটাতে আলোয়াড়ের মহারাজ তখন ইংল্যান্ডে। সেই সময়ে এক দিন রোলস রয়েজের একটি শোরুমে নজর পড়ে তাঁর। শোরুমে ঢুকে গাড়ি দেখতে থাকেন তিনি। কিন্তু সাধারণ পোষাকে পারিষদহীন রাজাকে একেবারেই পাত্তা দেয়নি শোরুমের কর্মচারীরা। বিরক্ত, ক্ষিপ্ত মাহারাজ পরের দিনই সপারিষদ এসে উপস্থিত ওই শোরুমে। একটি-দু’টি নয়, একেবারে সাতটি গাড়ি অর্ডার দিয়ে ফেললেন নিজের জন্য। কিন্তু রাখলেন একটি শর্তও। আগের দিন যে সেলসম্যান তাঁকে অপমান করেছেন, গাড়িগুলির সঙ্গে তাঁকেও যেতে হবে ভারতে। এত বড় অর্ডার, তার উপর খোদ মহারাজের নির্দেশ। শর্ত মেনে নিল রোলস রয়েজ।
দেশে ফিরে সেই সাত বিলাসবহুল গাড়িকে জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজে লাগালেন মহারাজ। আর তার দায়িত্বে রাখলেন সেই সেলসম্যানকেই। ভুল বুঝতে দেরি হয়নি রোলস রয়েজ কর্তৃপক্ষের। খারাপ ব্যবহারের জন্য মহারাজের কাছে লিখিত ভাবে ক্ষমা চেয়ে নেন তাঁরা। রাগ কমে মহারাজের। এর পর অবশ্য আর জঞ্জাল সাফাইয়ে দেখা যায়নি রোলস রয়েজগুলিকে।