রোহিঙ্গাদের তাড়াব: জিতেন্দ্র

তাঁর কথায়, ‘‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদেরও এ বার দেশ থেকে তাড়ানো হবে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:০৭
Share:

জিতেন্দ্র সিংহ।

নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) ঘিরে দেশ জুড়ে চলা প্রতিবাদ আন্দোলনের মধ্যেই রেহিঙ্গা বিতর্ক উস্কে দিলেন প্রধানমন্ত্রী দফতরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ। তাঁর কথায়, ‘‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদেরও এ বার দেশ থেকে তাড়ানো হবে।’’

Advertisement

গত কাল জিতেন্দ্র ওই কথা বলার পরেই আজ জম্মুতে জাতীয় প্যান্থার পার্টির পক্ষ থেকে অবিলম্বে ওই বিদেশিদের বহিষ্কারের দাবি ওঠে। দলের চেয়ারম্যান হর্ষদেব সিংহ আজ একটি প্রতিবাদ সভায় রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের নিজেদের দেশে পাঠানোর জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।

কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী গোটা দেশে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বেআইনি ভাবে বসবাস করেন। যার মধ্যে প্রায় ৬ হাজারের বেশি রেহিঙ্গা রয়েছেন জম্মুতে। প্রাথমিক ভাবে এঁদেরই নিশানা করতে চাইছে শাসক শিবির। জিতেন্দ্র বলেন, প্রথমে ওই রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তার পরে
তাদের দেশ থেকে তাড়ানোর কাজ শুরু হবে। প্রশ্ন হল, ভারত যদি ওই রোহিঙ্গাদের তাড়াতে চায় তা হলে মায়ানমার না বাংলাদেশ, কাদের হাতে তাদের তুলে দেওয়া হবে ? এ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে সরকারের শীর্ষ স্তরেও। কেন না মায়ানমার থেকে পালিয়ে রোহিঙ্গারা প্রথমে বাংলাদেশে ঢোকে। সেখান থেকে পশ্চিমবঙ্গ বা উত্তর-পূর্ব সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢোকে। প্রশ্ন উঠেছে, এদের পুশব্যাক করে কোন দেশে পাঠানো হবে।

Advertisement

সিএএ সংসদে পাশ হওয়ার পর থেকেই উত্তাল দেশের একটি বড় অংশ। সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন বহু মানুষ। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, এ দেশ থেকে মুসলিমদের তাড়ানোর জন্যই সিএএ ও এনআরসি আনছে সরকার। যদিও অমিত
শাহদের যুক্তি, সিএএ কারওর নাগরিকত্ব কাড়বে না। কেন রোহিঙ্গাদের তাড়ানো হবে সেই যুক্তিতে জিতেন্দ্র বলেন, ‘‘রোহিঙ্গারা মায়ানমারের বাসিন্দা। সিএএ-তে মায়ানমারের উল্লেখ নেই। উপরন্তু তাঁরা ধর্মে মুসলমান। ফলে ওই আইনের সুবিধা পাবেন না।’’ জিতেন্দ্রের দাবি, সিএএ গোটা দেশের সঙ্গেই জম্মু ও কাশ্মীরেও বলবৎ হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপে এ বার রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বার করে দেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক অবশ্য বলছে, সিএএ-র ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া সম্ভব, কাড়া যাবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement