ছবি: রয়টার্স।
কেন্দ্রের নির্দেশে দিল্লিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের কাজে নেমেছে দিল্লি পুলিশ। সোমবার থেকে বিলি করা হচ্ছে নাগরিকত্ব যাচাইয়ের ফর্ম। হাজার খানেক রোহিঙ্গা তা পূরণ করে দিলেও অনেকেরই আশঙ্কা, ফর্মে নিজেদের তথ্য জানালে তাঁদের মায়ানমারে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে। মূলত দু’টি বিষয় চিন্তায় রেখেছে এই রোহিঙ্গাদের। এক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের ঘোষণা। দুই, সম্প্রতি বন্দি সাত রোহিঙ্গাকে মণিপুর সীমান্ত দিয়ে মায়ানমারে ফেরত পাঠানো। ওই সাত রোহিঙ্গা ফিরে যেতে রাজি ছিলেন বলেই জানিয়েছে দু’দেশের সরকার। কিন্তু দিল্লির শাহিনবাগ শিবিরে রোহিঙ্গাদের অনেকেই জানাচ্ছেন, মায়ানমারে ফিরতে চান না তাঁরা। ওখানে নিজেদের ঘর-সংসার, সন্তান-পরিজনদের পুড়তে দেখেছেন ওঁরা। হিংসার জেরে ভারতে পালিয়ে আসার পরে এ দেশেই জন্মেছে অনেকের সন্তান। জোর করে তাদের হিংসার মুখে ঠেলে দিলে ওরা বাঁচতে পারবে না। একটাই আর্জি এই রোহিঙ্গাদের, ‘‘দয়া করে সরকার যেন এটা না করে।’’