ছাত্র খুনে যাবজ্জীবন সাজা হল রকি যাদবের। ছবি: পিটিআই।
বিহারের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আদিত্য সচদেব হত্যায় দোষী সাব্যস্ত রকি যাদবকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শোনাল গয়ার জেলা ও দায়রা আদালত। সেই সঙ্গে যাবজ্জীবন হল রকির এক ভাই টেনি এবং তার দেহরক্ষী রাকেশ কুমার রঞ্জনের। রকির বাবা বিন্দি যাদবকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুনের পরেও আক্রমণ কমেনি কট্টরদের
নাজারথ অ্যাকাডেমির ছাত্র আদিত্যকে রাস্তায় গাড়ি থেকে নেমে গুলি করে মারার অভিযোগ ওঠে বিহারের প্রাক্তন জেডিইউ বিধায়ক মনোরমা দেবীর ছেলে রকি যাদবের বিরুদ্ধে। গত বছর, ৭ মে-র সেই ঘটনায় পুলিশ রকি, তাঁর মা মনোরমাদেবী এবং বাবা বিন্দি যাদবকে গ্রেফতার করে। গত ৩১ অগস্ট আদিত্য হত্যায় রকিকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এ দিন ওই মামলার সাজা ঘোষণার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: গো-রক্ষকদের তাণ্ডব বন্ধে কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
গত বছর মে মাসে বুদ্ধগয়ার কাছে রকির বিলাসবহুল গাড়ি ওভারটেক করা নিয়ে গয়ার এক ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে আদিত্য সচদেবের সঙ্গে বচসা বাধে রকি ও তাঁর সঙ্গীদের। গাড়ি থেকে নেমে আদিত্যের রাস্তা আটকে দাঁড়ান বিধায়ক-পুত্র। গাড়ি থেকে নামেন বিধায়কের দেহরক্ষী রাকেশ কুমারও। আদিত্যের গাড়ির চালককে টেনে নামানোর চেষ্টা করা হয়। গাড়ি থেকে না নেমে কোনও মতে গতি বাড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন আদিত্যের চালক। তখনই পিছন থেকে নিজের লাইসেন্স প্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি চালায় রকি। গাড়ির পিছনের স্ক্রিন ফুঁড়ে মাথায় লাগে আদিত্যের। ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। এর পরেই বাবার ফার্ম হাউসে আত্মগোপন করেন রকি। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাঁর বাবা বিন্দি যাদব এবং মা মনোরমা দেবীকেও গ্রেফতার করা হয়।