উত্তর-পূর্বের সীমান্তের বসতিতে উন্নয়ন পৌঁছে দিতে চান রিজিজু

বিদ্যুৎ-সড়ক-স্বাস্থ্য পরিষেবার অভাবে সীমান্তের প্রত্যন্ত গ্রাম ছেড়ে শহরে ভিড় জমাচ্ছেন নাগরিকরা। তাতে অনেকটাই অরক্ষিত উত্তর-পূর্বের সীমা, অরুণাচল সফরে এসে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি জানিয়েছেন, এই সমস্যা দূর করতে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারকে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে।

Advertisement

রাজীবাক্ষ রক্ষিত

ইটানগর শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৪ ০৩:৩৭
Share:

ইটানগরে কিরেন রিজিজু।

বিদ্যুৎ-সড়ক-স্বাস্থ্য পরিষেবার অভাবে সীমান্তের প্রত্যন্ত গ্রাম ছেড়ে শহরে ভিড় জমাচ্ছেন নাগরিকরা। তাতে অনেকটাই অরক্ষিত উত্তর-পূর্বের সীমা, অরুণাচল সফরে এসে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি জানিয়েছেন, এই সমস্যা দূর করতে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারকে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে।

Advertisement

কেন্দ্রে এনডিএ সরকার গঠনের মাস দেড়েকের মধ্যে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে অরুণাচলে পাঠিয়ে পড়শি চিনকে সুস্পষ্ট ‘বার্তা’ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতি সে দেশের মানচিত্রে অরুণাচলকে চিন নিজেদের অংশ হিসেবে দেখিয়েছে। এ নিয়ে উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যে আন্দোলন চলছে। তার আঁচ পৌঁছেছে নয়াদিল্লিতেও। রিজিজু বলেন, “চিন স্বাধীন দেশ। তারা যা ইচ্ছা দাবি করতে পারে। কিন্তু অরুণাচল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।” কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানান, সাম্প্রতিক চিন সফরে দেশের উপ-রাষ্ট্রপতি এবং কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী এ বিষয়ে নয়াদিল্লির মনোভাব বেজিং-কে জানাবেন।

এ দিন ইটানগরে উত্তর-পূর্বের সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা এবং সীমান্ত এলাকার উন্নয়ন নিয়ে রিজিজু এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্ম-সচিব (উত্তর-পূর্বের দায়িত্বপ্রাপ্ত) শম্ভু সিংহ, অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী নাবাম টুকি, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টাঙ্গা বায়ালিয়াং, রাজ্য পুলিশের ডিজি, বিভিন্ন দফতরের উচ্চপদস্থ অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। উপস্থিত ছিলেন সেনা, বিমান, সীমান্ত সড়ক সংস্থা, ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ, বিএসএনএল-এর উচ্চ পদাধিকারীরাও।

Advertisement

রিজিজু জানান, হিমালয়-ঘেঁষা রাজ্যগুলির উন্নয়নে আরও বেশি অর্থ বরাদ্দের পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। তার সুফল পাবে অরুণাচলও। মন্ত্রী বলেন, “সীমান্তে পরিকাঠামো গড়তে অতিরিক্ত ৫ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।” সেনা বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশকে অসমের ধাঁচে অরুণাচলে ‘ইউনিফায়েড কম্যান্ড’ গঠনের নির্দেশ দেন তিনি।

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্বে জঙ্গি সমস্যার সমাধানে শান্তি আলোচনায় গতি আনতে আগ্রহী মোদী সরকার। ইতিমধ্যেই কিছু জঙ্গি সংগঠন প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছে। এনএসসিএন (আইএম) সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার জন্য মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করা হবে দ্রুত। মন্ত্রীর বক্তব্য, “উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব খারাপ থাকায়, সেখানে জঙ্গি সমস্যা থেকে গিয়েছে।” সেনা বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রত্যাহারের বিষয়ে তিনি বলেছেন, “ব্যক্তি অধিকারের চেয়ে রাজ্যের নিরাপত্তা আরও গুরুত্বপূর্ণ। ওই আইন সরিয়ে নেওয়ার পর কোনও রাজ্য সমস্যায় পড়লে কী হবে?” তবে তিনি বিষয়টি ভাবার আশ্বাস দিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement