satish maneshinde

জেঠমলানীর কাছে হাতেখড়ি, সেলেব-অভিযুক্তদের জামিন করাতে সিদ্ধহস্ত রিয়ার আইনজীবী

পাল্টা বিবৃতিতে সতীশ দাবি করেছেন, তিনি নিজের থেকে এই মামলা নেননি। মুখ খোলেননি পারিশ্রমিক প্রসঙ্গেও। জানিয়েছেন, সেটা তাঁর এবং তাঁর ক্লায়েন্টের ব্যক্তিগত বিষয়।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২০ ১৩:০৩
Share:
০১ ১৫

কর্নাটকের ধারওয়ড় থেকে আশির দশকে ভাগ্যের সন্ধানে এসেছিলেন মুম্বইয়ে। চাকরি পেয়েছিলেন প্রখ্যাত আইনজীবী রাম জেঠমলানীর অধীনে। সেখানেই পেশাদারি জীবনের হাতেখড়ি। আজ, সতীশ মানশিণ্ডে নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান।

০২ ১৫

বর্তমানে তিনি দেশের মহার্ঘ্য়তম ক্রিমিনাল ল’ ইয়ারদের মধ্য়ে অন্যতম। সুশান্ত সিংহ রাজপুত মৃত্যু পরবর্তী মামলায় অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবী হিসেবে তাঁর নাম এখন বহুচর্চিত।

Advertisement
০৩ ১৫

এটাই প্রথম নয়। এর আগে বহু বিতর্কিত মামলায় সতীশ ছিলেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী। বলা হয়, জেঠমলানীর মতো দুঁদে আইনজীবীর কাছে দীর্ঘ দিন শিক্ষানবিশি তাঁর দক্ষতার ভিত গড়ে দিয়েছে। সিভিল এবং ক্রিমিনাল ল’,দু’টি ক্ষেত্রেই প্র্য়াকটিস করেছেন।

০৪ ১৫

অভিনেতা, রাজনীতিক-সহ দেশের সেলেব্রিটি মহলে আলোচিত ও পরিচিত নাম ‘সতীশ মানশিণ্ডে’। ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণ মামলায় তিনি ছিলেন অভিযুক্ত সুপারস্টার সঞ্জয় দত্তের আইনজীবী। তাঁর দক্ষতাই বেআইনি অস্ত্র রাখার অপরাধে এবং অস্ত্র আইন ভাঙার অপরাধে অভিযুক্ত সঞ্জয়কে জামিন পেতে সাহায্য করেছিল।

০৫ ১৫

কেরিয়ারের প্রথম থেকেই শিবসেনা ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সতীশ। বলা হয়, বালাসাহেব ঠাকরেই নাকি সুনীল দত্তকে পরামর্শ দেন সতীশকে আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত করার জন্য়। এই মামলার পরেই কার্যত বিখ্যাত হয়ে যান সতীশ।

০৬ ১৫

সঞ্জয় একা নন। ইন্ডাস্ট্রির আর এক অভিযুক্ত সলমনও অন্য়তম ক্লায়েন্ট সতীশের। শোনা যায়, তাঁর সওয়াল-জবাবের জন্যই হিট অ্যান্ড রান কেসে জামিন পান সল্লু মিয়াঁ। ১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হত্যা মামলাতেও তিনি ছিলেন সলমনের আইনি পরামর্শদাতাদের মধ্যে একজন।

০৭ ১৫

সেলেব মহলের বাইরেও একাধিক বিতর্কিত মামলা লড়েছেন সতীশ মানশিণ্ডে। অতীতে মুম্বই পুলিশের ইন্সপেক্টর দয়া নায়েকের আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পত্তি মামলায় সতীশ-ই ছিলেন তাঁর আইনজীবী।

০৮ ১৫

আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ছোটা রাজনের স্ত্রী সুজাতা নিকালজি এবং বুকি শোবান মেহতা যে ম্য়াচ ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়েছিলেন, সেই মামলাতেও সতীশ-ই ছিলেন অভিযুক্ত পক্ষের উকিল।

০৯ ১৫

ন’ বছর আগে রাখি সঞ্চালিত রিয়্য়ালিটি শো ‘রাখি কা ইনসাফ’-এ অংশ নেওয়ার পরে আত্মঘাতী হন এক তরুণ। তাঁর মায়ের অভিযোগ ছিল, শো-এ হেনস্থা হওয়ার পরেই চরম সিদ্ধান্ত নেন ওই তরুণ। এর পরেই আত্মহত্যা প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হন রাখি। তাঁকে আইনি লড়াইয়ে সাহায্য করেছিলেন সতীশ।

১০ ১৫

চলতি বছর এপ্রিলে সুরতের পালঘরে ছেলেধরা সন্দেহে গণপ্রহারে মারা যান দু’জন সাধু এবং তাঁদের গাড়ির চালক। সেই মামলাতেও সতীশ ছিলেন বিশেষ সরকারি কৌসুঁলি।

১১ ১৫

সম্প্রতি সুশান্তের পারিবারিক বন্ধু স্মিতা পারিখ সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন, রিয়া তাঁকে জানিয়েছেন,সতীশ নিজেই তাঁর মামলা লড়বেন বলে আগ্রহী হয়েছিলেন। এমনকি, বিনা পারিশ্রমিকে তিনি আইনি-সাহায্য করেছেন বলেও নাকি দাবি ছিল রিয়ার।

১২ ১৫

যদিও পাল্টা বিবৃতিতে সতীশ দাবি করেছেন, তিনি নিজের থেকে এই মামলা নেননি। মুখ খোলেননি পারিশ্রমিক প্রসঙ্গেও। জানিয়েছেন, সেটা তাঁর এবং তাঁর ক্লায়েন্টের ব্যক্তিগত বিষয়।

১৩ ১৫

সুশান্ত সিংহ রাজপুতকে মাদক জোগানোর ‘অপরাধে’ গ্রেফতার হওয়ার কার্যত এক মাস পরে বুধবার বম্বে হাইকোর্ট এক লক্ষ টাকা বন্ডের বিনিময়ে রিয়ার জামিন মঞ্জুর করে। রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি সারং ভি কোতোয়াল বলেন, কোনও মাদকাসক্ত ব্যক্তির নেশার জন্য টাকা খরচ করা মানেই তাঁকে মাদক নিতে উৎসাহ দেওয়া, এ কথা বলা যায় না।

১৪ ১৫

সতীশ জানিয়েছেন, জেলে বন্দি থাকার সময়েও রিয়া মনোবল হারাননি। মন ভাল রাখতে নিয়মিত যোগভ্যাস প্রশিক্ষণ করেছেন। বাকি বন্দিনীদের ক্লাস করিয়েছেন তিনি। সতীশ নিশ্চিত, বাংলার বাঘিনির মতোই ভবিষ্য়তে লড়াই করবেন রিয়া।

১৫ ১৫

চাঞ্চল্যকর এই মামলায় সতীশের আইনি লড়াই দেখতে মুখিয়ে আছে সারা দেশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement