রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে রেবন্ত রেড্ডি।
তেলঙ্গানার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বৃহস্পতিবার শপথ নিচ্ছেন অনুমালা রেবন্ত রেড্ডি। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কেবল দক্ষিণের এই রাজ্যেই জয়ের মুখ দেখেছে কংগ্রেস। তাই হায়দরাবাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিরোধী ঐক্যের একটা ছবি তুলে ধরে চাইছে তারা। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রেবন্তের শপথে থাকবেন সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী এবং দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। উপস্থিত থাকবেন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র ২৮টি দলের প্রতিনিধিও।
কংগ্রেস সূত্রে জানা যায়, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ‘ইন্ডিয়া’র সব শরিকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজেই উদ্যোগ নেন রেবন্ত। তিনি একে একে সব নেতাকে ফোন করে ব্যক্তিগত ভাবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ জানান। ওই সূত্রেরই খবর, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকেও নিজে ফোন করে আমন্ত্রণ জানান রেবন্ত। তবে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় মমতা বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদ যাচ্ছেন। তৃণমূলের তরফে কেউ যাচ্ছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা। প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের সমর্থনে তেলঙ্গানার একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল সিপিআই। তারা সেই আসনে জয়ী হয়েছে। তেলঙ্গানার নির্বাচনে প্রচার করা এবং প্রচারকৌশল তৈরি করায় বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। বৃহস্পতিবার রেবন্তের শপথ অনুষ্ঠানে থাকছেন তিনি। থাকছেন কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার। শিবকুমার তেলঙ্গানায় কংগ্রেসের নীতিনির্ধারক গোষ্ঠী এআইসিসির অন্যতম পর্যবেক্ষকও বটে।
‘ইন্ডিয়া’র শীর্ষ নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি বৃহস্পতিবারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তেসঙ্গানার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী তথা বিআরএস নেতা কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর) এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি এবং সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডুকেও।
তেলঙ্গানা প্রশাসন সূত্রে খবর, হায়দরাবাদের এলবি স্টেডিয়ামে দুপুর ১টা ৪ মিনিটে শপথ নেবেন রেবন্ত। কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে পারেন বিধায়ক মাল্লু ভাট্টি বিক্রমার্ক। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আগেই তেলঙ্গানার সব মানুষকে ‘খোলা আমন্ত্রণপত্র’ দিয়েছিলেন রেবন্ত। নিরাপত্তার কড়াকড়ি সত্ত্বেও প্রায় এক লক্ষ মানুষ শপথ দেখতে আসতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবারই নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দফায় দফায় বৈঠক করেন তেলঙ্গানার মুখ্যসচিব এ শান্তি কুমার, ডিজি রবি গুপ্ত এবং অন্য শীর্ষ পদাধিকারীরা।
পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে কংগ্রেসের সামগ্রিক ব্যর্থতার পর বিরোধী জোটে তাদের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিরোধী জোটের অন্দর থেকেই। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে বিরোধী ঐক্য প্রদর্শনের মঞ্চ হিসাবে তুলে ধরতে চাইছে কংগ্রেস। তবে শরিক দলগুলির শীর্ষ নেতাদের ঠিক কত জন হায়দরাবাদে উপস্থিত থাকবেন, তা নিয়ে সংশয় থাকছে।