(বাঁ দিকে) সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
সনিয়া গান্ধীর কাছে থাকা জওহরলাল নেহরুর ব্যক্তিগত চিঠি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। এমনই অনুরোধ জানিয়ে সনিয়া-তনয় রাহুল গান্ধীকে চিঠি দিল দিল্লির ‘প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা এবং গ্রন্থাগার’ (প্রাইম মিনিস্টারস মিউজ়িয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি বা পিএমএমএল)। গত ১০ ডিসেম্বর লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুলকে চিঠি দিয়েছেন পিএমএমএল-এর সদস্য রিজ়ওয়ান কাদরি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরুর ব্যক্তিগত চিঠির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিচার করে সেগুলি ফিরিয়ে দিন সনিয়া। রাহুলের কাছে সংগ্রহশালা কর্তৃপক্ষের আর্জি চিঠির আসল প্রতিলিপি না-ফেরানো হলেও অন্তত ফোটোকপি কিংবা ডিজিটাল সংস্করণ দেওয়া হোক। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সাল থেকে ওই সংগ্রহশালার তত্ত্বাবধানেই ছিল নেহরুর ব্যক্তিগত চিঠিগুলি। ২০০৮ সালে ইউপিএ সরকারের আমলে সেই চিঠি বাক্স করে সনিয়ার কাছে পাঠানো হয় বলে খবর। যদিও এই বিষয়ে গান্ধী পরিবারের তরফে কখনওই মুখ খোলা হয়নি।
গত সেপ্টেম্বরেও চিঠিগুলি ফেরানোর জন্য সনিয়াকে আর্জি জানিয়েছিলেন সংগ্রহশালা কর্তৃপক্ষ। এ বার একই আর্জি নিয়ে চিঠি দেওয়া হল রাহুলকে। ওই ব্যক্তিগত চিঠিগুলি নেহরু অ্যালবার্ট আইনস্টাইন, জয়প্রকাশ নারায়ণ, পদ্মজা নায়ডু, বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত, অরুণা আসফ আলি, বাবু জগজীবন রাম, গোবিন্দবল্লভ পন্থ, এডুইনা মাউন্টব্যাটেনকে লিখেছিলেন।
চিঠিতে রাহুলের উদ্দেশে লেখা হয়েছে, ‘আমরা বুঝতে পারছি নেহরু পরিবারের কাছে এই নথিগুলির ব্যক্তিগত তাৎপর্য রয়েছে। যদিও পিএমএলএল মনে করে, এই ঐতিহাসিক সম্পদ গবেষকদের কাছে আরও সহজলভ্য হওয়া উচিত।’
প্রসঙ্গত, নেহরুর মৃত্যুর পর তাঁর বাসভবন তিন মূর্তি ভবন সংরক্ষণের ভার হাতে নিয়েছিল তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার। পরে নেহরু সংগ্রহশালা এবং গবেষণার কেন্দ্র হয়ে ওঠে তা। তৈরি হয় ‘নেহরু মেমোরিয়াল মিউজ়িয়াম এবং লাইব্রেরি (এনএমএমএল) সোসাইটি’। পরে নরেন্দ্র মোদীর সরকার তার নাম পাল্টে প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা এবং গ্রন্থাগার সোসাইটি’ রাখে।