Retail Inflation

খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে ক্রমশই, খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার গড়তে চলেছে নতুন রেকর্ড

গত বছরের অগস্টে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৩.১১ শতাংশ। চলতি বছরে অনিয়মিত বৃষ্টি এবং তাপপ্রবাহের জেরে বহু ফসল নষ্ট হয়েছে। যার জেরে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২২ ২২:৪১
Share:

খুচরো বাজারে বাড়ছে খাদ্যপণ্য়ের দাম। ফাইল চিত্র।

খুচরো পণ্যের বাজারে মূল্যবৃদ্ধির আঁচ নেভার কোনও ইঙ্গিত নেই। বরং ক্রমশই তা বেড়ে চলেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় এই হার বৃদ্ধি ৭.৪১ শতাংশ। গত এপ্রিলের পর এই হার সর্বোচ্চ। জাতীয় পরিসংখ্যান বিভাগের প্রকাশিত তথ্য জানাচ্ছে, খুচরো বাজারে খাদ্য-সহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার কারণেই মূল্যবৃদ্ধি সূচক নতুন মাত্রা পেয়েছে।

Advertisement

মে, জুন ও জুলাই মাসে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি নিম্নগামীই ছিল। অগস্ট মাসে তা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া সীমার (২ থেকে ৬ শতাংশ) উপরে ওঠায় আবার সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়। গত জুলাইয়ের ৬.৬৯ ‌শতাংশ থেকে অগস্টে তা বেড়ে ৭.৬২ শতাংশ হয়েছিল। সেপ্টেম্বরে আরও বেড়ে হয়েছে ৭.৪১ শতাংশ।

গত বছরের অগস্টেই এই খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৩.১১ শতাংশ। চলতি বছরে বর্ষার অনিশ্চয়তা এবং দেশের নানা প্রান্তে তাপপ্রবাহের জেরে বহু ফসল নষ্ট হয়েছে। যার জেরে বাজারে আনাজের দাম বেড়ে যাওয়ায় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবর্ষে মূল্যবৃদ্ধির হারকে ২ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে বেঁধে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

Advertisement

বাজার বিশেষজ্ঞদের অনেকে আবার ডলারের নিরিখে টাকার দামের লাগাতার পতনকে কারণ হিসাবে উল্লেখ করছেন। তাঁদের বক্তব্য, টাকার দামে পতন মূল্যবৃদ্ধির পক্ষে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ডলারের দাম বাড়লে পণ্য আমদানি করার খরচ বাড়বে। যার ফলে চড়বে উৎপাদন খরচ। এতে খুচরো বাজারে জিনিসের দাম বৃদ্ধিরই কথা। তার উপর জ্বালানির খরচ এখনও বেশ চড়া। যা পরিবহণের খরচকেও বাড়িয়ে রেখেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement