বিজেপির সদর দফতরের বাইরে। ছবি: এএফপি।
আজ মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ। আর কিছু ক্ষণের মধ্যেই ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যাবে— মহারাষ্ট্র কার? বিজেপি-শিবসেনা যেমন আশাবাদী আবার তারাই ক্ষমতায় আসছে, কংগ্রেস-এনসিপি শিবিরের ছবিটাও অনেকটা সে রকমই। তবে শেষ হাসি কে হাসবে এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা!
বিজেপি অবশ্য প্রথম থেকেই তাদের জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। বুথফেরত সমীক্ষাও বিজেপিকে অনেকটাই এগিয়ে রেখেছে। ফলে সেই আত্মবিশ্বাস এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে তাদের।
তবে তাতে খুব একটা আমল দিতে চাইছে না কংগ্রেস-এনসিপি শিবির। তাদের পাল্টা দাবি, সরকার এ বার বদল হবেই। ক্ষমতায় আসবে তাদের জোট।
গত ২১ অক্টোবর বিধানসভা নির্বাচন হয় মহারাষ্ট্রে। ২৮৮টি আসনে ৩২,২৩৯ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে এ দিন। এ বারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৮ কোটি ৯৮ লক্ষ। ভোটগ্রহণ পর্ব চলেছে ৯৬ হাজার ৬৬১টি কেন্দ্রে।
এ বারের নির্বাচনে বিজেপি লড়েছে ১৬৪টি আসনে, শিবসেনা ১২৪টিতে। অন্য দিকে, ১৪৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস, এনসিপি লড়ছে ১২১টি আসনে।
ভোটের হার ২০১৪-র তুলনায় এ বার কম পড়েছে। ২০১৪-য় যেখানে ৬৩.০৮ শতাংশ ভোট পড়েছিল, এ বার সেটা দাঁড়িয়েছে ৬০.০৩ শতাংশে।
এ বারের নির্বাচনে বিশেষ নজর থাকছে উদ্ধভ ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরের দিকে। কারণ শিবসেনার ইতিহাসে এই প্রথম ঠাকরে পরিবার থেকে কেউ সরাসরি ভোটে প্রার্থী হলেন। আদিত্য প্রার্থী হয়েছেন ওরলি থেকে।
নজরে থাকছেন দেবেন্দ্র ফডণবীস এবং পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ, অজিত পওয়ারের মতো হেভিওয়েট প্রার্থীরাও।
পশ্চিম মহারাষ্ট্রও এ বার বড় ফ্যাক্টর। কারণ এই অঞ্চল থেকে বিজেপি যেমন নিজেদের ভোট তুলে নিতে চেষ্টার কোনও খামতি রাখেনি, তেমনই এই গড় নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার।
২০১৪-য় বিজেপি-শিবসেনা জোট পেয়েছিল ১৮৫টি আসন। তার মধ্যে বিজেপির ছিল ১২২টি এবং শিবসেনার ৬৩টি। অন্য দিকে, কংগ্রেস পেয়েছিল ৪২টি এবং এনসিপি ৪১টি।