গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
চার রাজ্যের ভোটে দলের মোট ২০ জন সাংসদকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও। তাঁদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি জিতেছেন। কিন্তু হেরেও গিয়েছেন অনেকে।
রাজস্থানের বিধানসভা ভোটে সাত সাংসদকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। তালিকায় ছিলেন অলিম্পিক্স পদকজয়ী প্রাক্তন শুটার তথা জয়পুর গ্রামীণ কেন্দ্রের সাংসদ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠৌর। জয়পুরেরই জোটওয়ারা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ে জিতেছেন তিনি। জয়পুরের বিদ্যাধরনগর থেকে জিতেছেন রাজপরিবারের কন্যা তথা রাজসমন্দের সাংসদ দিয়া কুমারী। তালিকায় ছিলেন ‘রাজস্থানের যোগী আদিত্যনাথ’ হিসাবে পরিচিত মহন্ত বালকনাথ। অলওয়ারের বিজেপি সাংসদ বালকনাথ তাঁর এলাকায়ই তিজারা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতেছেন। এঁরা তিন জনই রাজ্যস্থানের মুখ্যমন্ত্রিত্বের ‘দাবিদার’ বলে দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে।
রাজস্থানে বিজেপির প্রবীণ রাজ্যসভা সাংসদ কিরোরীলাল মীনাও জিতেছেন সওয়াই মাধোপুর কেন্দ্রে। তবে হেরে গিয়েছেন ঝুনঝুনুর সাংসদ নরেন্দ্র কুমার (মান্ডওয়া), জালোরের বিজেপি সাংসদ দেবজী পটেল (সাঞ্চোরে) এবং অজমেরের সাংসদ ভগীরথ চৌধুরির (কিসানগড়)।
মধ্যপ্রদেশে বিজেপির প্রার্থিতালিকায় ছিলেন তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ সাত সাংসদ। নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রীদের মধ্যে দামোহর সাংসদ প্রহ্লাদ পটেল (নরসিংপুর) জিতেছেন। মোরেনার সাংসদ নরেন্দ্র সিংহ তোমর (দিমানি) এগিয়ে রয়েছেন। কিন্তু ২০০৮ সালে লোকসভায় প্রশ্ন-ঘুষ মামলায় অভিযুক্ত মান্ডলার সাংসদ ফগ্গন সিংহ কুলস্তে হেরে গিয়েছেন।
বিজেপি মধ্যপ্রদেশে প্রার্থী করেছিল চার লোকসভা সাংসদ রাকেশ সিংহ (জব্বলপুর), গণেশ সিংহ (সাতনা), রীতি পাঠক (সিধি) এবং উদয়প্রতাপ সিংহ(নর্মাদাপুরম)-কে। সিধি বিধানসভা কেন্দ্রে রীতি, গদরওয়ারায় উদয়, এবং জব্বলপুর-পশ্চিমে রাকেশ, জিতেছেন। তবে সাতনা বিধানসভায় পিছিয়ে রয়েছেন গণেশ।
মধ্যপ্রদেশের পড়শি রাজ্য ছত্তীসগঢ়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সরগুজার সাংসদ রেণুকা সিংহ জিতেছেন ভরতপুর সোনহাট কেন্দ্রে। জয়ী হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বিলাসপুরের সাংসদ অরুণ সাউ (লোরমি) এবং রায়গড়ের সাংসদ গোমতী সাইও (পাতালগাঁও) । যদিও দক্ষিণ ভারতের রাজ্য তেলঙ্গানায় বিজেপি তিন সাংসদকে প্রার্থী করে সাফল্য পায়নি। আদিলাবাদের সাংসদ সোয়াম বাপু রাও বোয়াথ বিধানসভা আসনে এবং নিজামাবাদের সাংসদ ধর্মপুরী অরবিন্দ কোরাটলা বিধানসভায় হেরেছেন। করিমনগরের সাংসদ তথা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বান্দি সঞ্জয় কুমার করিমনগর সদর বিধানসভা কেন্দ্রে পিছিয়ে রয়েছেন। সব মিলিয়ে চার রাজ্যে চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ ২০ বিজেপি সাংসদের মধ্যে জয়ী হয়েছেন এবং এগিয়ে রয়েছেন মোট ১২ জন।