শ্রীনগরে ফের জারি বিধিনিষেধ
জম্মু-কাশ্মীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক, প্রশাসন এই কথা জানানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের বিধিনিষেধ আরোপ হল উপত্যকায়। এমনই দাবি করা হচ্ছে এনডিটির রিপোর্টে। সামনে ইদ। গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নিজের ভাষণে বলেছিলেন, মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে ইদ পালন করতে পারে তার জন্য সর্বতো ভাবে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। শুক্রবারই কাঠুয়া এবং সাম্বা জেলা থেকেও তুলে নেওয়া হয় ১৪৪ ধারা। অন্য বেশ কয়েকটি জায়গায় স্কুল কলেজ খুলে যায়, শিথিল হয় কার্ফু। শুক্রবারের প্রার্থনার জন্যে ছোট ছোট কয়েকটি ইদগাহও খুলে গিয়েছিল। হয়েছেন। সেই মতোই ঘন ঘন আসতে থাকে প্রশাসনিক বার্তা। শনিবার কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিংহ বলেন, “কোথাও কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। একটি ছোটখাট পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছিল। তা বড় আকার নেওয়ার আগেই সামাল দেওয়া হয়েছে।’’ সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি উড়িয়ে দিয়েছিলেন আইজি এসপি পানি। তিনি বলেন, ‘‘কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম উপত্যকায় গুলিচালনার খবর দেখাচ্ছে। কিন্তু, তা সম্পূর্ণ ভুয়ো। এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। গত এক সপ্তাহ ধরেই উপত্যকা শান্তিপূর্ণ রয়েছে।” কিন্তু পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের একটা বড় অংশ দাবি করছিল, ছর্রা বুলেটের আঘাত নিয়ে বহু মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
আরও পড়ুন :গত ছ’দিনে কোথাও হিংসার ঘটনা ঘটেনি, বিবৃতি দিয়ে দাবি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের
আরও পড়ুন :কার্ফু শিথিল হবে কাশ্মীরে, লড়াই কোর্টে
এদিন এনডিটিভির খবরে জানা যাচ্ছে, শ্রীনগর জুড়ে ঘোষণা চলছে যাঁরা বাইরে রয়েছেন তাঁরা যেন বাড়ি ফিরে যান। সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জম্মু কাশ্মীরের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে চাপানউতোর চলছে বেশ কয়েক দিন ধরেই। প্রশাসনের তরফে বারবারই জানানো হয়েছে, উপত্যকা এখন অনেকটা শান্তিপূর্ণ। সেখানকার বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে ইদের আগে বিধিনিষেধও শিথিল হবে। এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ সংবাদমাধ্যমকে জানান, সাধারণ মানুষ কাশ্মীরে ইদের উৎসবে মেতেছে। অন্য দিকে, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলি বারবারই দাবি করে আসছে, কাশ্মীর উত্তপ্ত। ভিডিয়ো তুলে ধরে তারা দাবি করছে, শুক্রবারও ইদগাহগুলিতে প্রার্থনার পরে উপত্যকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পথে নামে সাধারণ মানুষ, পুলিশের তরফে গুলি ও ছর্রাও ছোড়া হয়।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর টুইট দেখুন:
এই মুহূর্তে উপত্যকা নতুন করে উত্তপ্ত হলে প্রশাসনের পক্ষে তা বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠবে। রাত পোহালে ইদ, উপত্যকায় শান্তিপূর্ণ ভাবে ইদ পালনের বাতাবারণ না থাকলে ধর্মীয় ভাবাবেগ ক্ষুন্ন হওয়ার অভিযোগ ওঠার ভয় রয়েছে।