ছবি: পিটিআই।
হাথরস, বলরামপুর, মেরঠ, বরাবাঁকি....একের পর এক মহিলা-শিশু ধর্ষণ ও খুনের তালিকাটা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে। তার মধ্যেই নবরাত্রি শুরুর দিনে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি রাহুল গাঁধী মনে করিয়ে দিলেন, দেবী পুজোর মতোই আবশ্যিক হল মহিলাদের সম্মান করা।
সরাসরি কোনও প্রসঙ্গ টানেননি, তোলেননি রাজনীতির কথাও। তবু কংগ্রেস নেতার মন্তব্যের সূত্র ধরে অনেকেই বলছেন, হাথরসের ঘটনা গোটা দেশকে নাড়া দিলেও দেশের প্রধানমন্ত্রী-সহ সরকারের শীর্ষ নেতারা যে ভাবে বিষয়টি নিয়ে মুখ বুজে রয়েছেন, এ দিন যেন পরোক্ষে তাকেই খোঁচা দিলেন রাহুল। হাথরসের পাশাপাসি বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের নানা জায়গায় ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা যে ভাবে বাড়ছে, তাতে যোগী প্রশাসনের উপরে আস্থা হারাচ্ছেন অনেকেই। কংগ্রেস নেতাদের একাংশের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী-সহ তাঁদর ও সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা আগামী কয়েক দিন দেবীপুজোয় মেতে উঠবেন, দেবী বন্দনা করে বিবৃতি দেবেন, শুভেচ্ছাও জানাবেন। কিন্তু এই সব ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেই থাকবেন। এ দিন ঘুরিয়ে তাঁদেরও বার্তা দিয়েছেন রাহুল।
এর মধ্যেই হাথরসের যে দলিত পরিবারের কন্যার গণধর্ষণ ও মৃত্যু নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল, সেই পরিবার আর যোগী রাজ্যে থাকতে ভরসা পাচ্ছে না। পাশাপাশি তাঁরা চান, মামলাটি দিল্লি বা মুম্বইয়ের কোনও আদালতে শুনানি হোক। নিজেদের নিরাপত্তার কারণেই দিল্লিতে কোনও নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে চান তাঁরা। নির্যাতিতার ভাই নিজেই এ কথা জানানোর পরে এগিয়ে এসেছেন দিল্লির আপ নেতা সঞ্জয় সিংহ। তিনি পরিবারটিকে নিজের বাড়িতে এনে রাখার কথা জানিয়েছেন। বিষয়টি তিনি নির্যাতিতার পরিবারকে জানিয়েছেন বলে দাবি করে সঞ্জয়ের বক্তব্য, যোগী আদিত্যনাথের রাজত্বে আতঙ্ক নিয়ে থাকতে হবে না ওঁদের। সঞ্জয় সিংহের এমন মনোভাবের প্রশংসা করেছেন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত অনেকেই। একই সঙ্গে যোগী রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও সরব হয়েছেন তাঁরা।