(বাঁ দিকে) মায়াবতী, আকাশ আনন্দ (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।
পিসি মায়াবতী রবিবারই তাঁর দলের জাতীয় সমন্বয়কের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন ভাইপো আকাশ আনন্দকে। সোমবার আকাশ বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-র নেত্রীর সেই সিদ্ধান্তকে ‘সর্বান্তঃকরণে সমর্থন’ করলেন! বললেন, ‘‘উনি আমাদের দলনেত্রী। ওঁর প্রতিটি সিদ্ধান্তই অলঙ্ঘনীয়।’’
এক্স পোস্টে আকাশ লিখেছেন, ‘‘আমি মায়াবতীজির এক জন কর্মী এবং তাঁর নেতৃত্বেই আমি ত্যাগ, আনুগত্য এবং নিষ্ঠার অবিস্মরণীয় পাঠ শিখেছি।’’ পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘‘এই ঘটনা আমাকে আবেগপ্রবণ করেছে। কিন্তু এটি আমার কাছে এক বড় পরীক্ষা। এখনও অনেক লড়াই বাকি রয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, এক বছরের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার পিসির ‘রোষে’ পড়ে পদ হারালেন আকাশ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মায়বতী নতুন যে দু’জনকে জাতীয় আহ্বায়কের দায়িত্ব দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে এক জন আকাশের বাবা আনন্দ কুমার। অন্য জন, রাজ্যসভা সাংসদ রামজি গৌতম।
বিএসপি সূত্রের খবর, আকাশের উপর তাঁর শ্বশুর তথা সদ্য বহিষ্কৃত বিএসপি নেতা অশোক সিদ্ধার্থের প্রভাবের কারণেই রুষ্ট মায়াবতীর এই পদক্ষেপ। ২০২৩ সালে প্রথম বার আকাশকে জাতীয় সমন্বয়কের দায়িত্ব দিয়েছিলেন বিএসপি নেত্রী। কিন্তু লোকসভা ভোটপর্বের সময় হঠাৎই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সে সময় বিএসপির তরফে জানানো হয়েছিল, আকাশকে আরও ‘অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ’ দিতেই এই পদক্ষেপ।
লোকসভা ভোট মেটার পরেই অবশ্য ভাইপোকে পদ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন পিসি। মায়াবতী অতীতে আকাশকেই দলে তাঁর রাজনৈতিক উত্তরসূরি হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু পদ ফিরিয়ে দেওয়ার পরে আর আকাশকে উত্তরসূরি ঘোষণা করেননি উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন দলিত মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার মায়াবতী জানিয়েছেন, তাঁর জীবদ্দশায় কারও নাম ‘রাজনৈতিক উত্তরসূরি’ হিসাবে ঘোষণা করবেন না। অন্য দিকে, আকাশের শ্বশুর অশোক ‘শত্রুদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দলের ক্ষতি করতে’ সক্রিয় ছিলেন বলে সোমবার বিএসপির তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে।