প্রতীকী ছবি।
ঘরোয়া ঢিলেঢালা পোশাকে ঘরেই থাকা ভাল! জনসমক্ষে বা সাধারণের ব্যবহারের এলাকায় যেন সেই পোশাকে ঘোরাফেরা না করেন আবাসনের বাসিন্দারা। আবাসিকদের পোশাক নিয়ে পরামর্শ দিয়ে এমনই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজধানী দিল্লি সংলগ্ন গ্রেটার নয়ডার এক আবাসন কর্তৃপক্ষ। সেই পোশাকবিধির বিজ্ঞপ্তি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। আবাসিকদের একাংশ এই প্রস্তাব মেনে নিলেও অন্য অংশের বক্তব্য আবাসনের বাসিন্দারা কী পোশাক পরবেন, তা-ও কি ঠিক করে দেবেন কর্তৃপক্ষ! এটা অধিকারে হস্তক্ষেপ নয় কি?
গ্রেটার নয়ডায় এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সেক্টর ফি২-র হিমসাগর অ্যাপার্টমেন্টের আবাসিকদের সংগঠন। গত ১০ জুন জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে আবাসিকদের বিশেষ ভাবে সতর্ক করা হয়েছে ফ্ল্যাটের বাইরে লুঙ্গি এবং নাইটির মতো ঢিলেঢালা পোশাক পরার ব্যাপারে।
জাতীয় স্তরের এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনের সভাপতি সিকে কালরা জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরেই এ নিয়ে অভিযোগ আসছিল তাঁদের কাছে। কিছু আবাসিক ঢিলেঢালা পোশাকে আবাসন চত্বরে যোগাভ্যাস বা শারীরিক কসরত করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল কর্তৃপক্ষের কাছে। সম্প্রতি কিছু মহিলা আবাসিক এমনও জানিয়েছিলেন, আবাসনের এক প্রবীণ বাসিন্দা লুঙ্গি পরে আবাসন চত্বরে ব্যায়াম করছিলেন। যা দৃষ্টিকটু বলে মনে হয়েছে তাঁদের। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, তারা প্রথমে মৌখিক ভাবেই সমস্যার কথা যথাস্থানে পৌঁছে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হয়েছে। তার পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বিজ্ঞপ্তির বয়ান ছিল, ‘‘আবাসিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে, আপনারা যখনই আবাসন চত্বরের সাধারণের ব্যবহারের এলাকায় ঘোরাফেরা করবেন, তখন নিজেদের পোশাক-আশাক এবং আচার-আচরণে বিশেষ নজর দিন। যাতে কেউ এ নিয়ে কোনও রকম আপত্তি তুলতে বা প্রতিবাদ জানানোর সুযোগ না পান। আপনার আচরণ থেকেই শিক্ষা পাবে আপনার সন্তান। তাই সবাইকে অনুরোধ, আবাসন চত্বরে লুঙ্গি বা নাইটি জাতীয় পোশাক পরে চলে আসবেন না। কারণ এগুলি ঘরের ভিতরে পরার পোশাক।’’ আবাসিকদের একাংশ এই নিয়ম যথাযথ বলেই মেনে নিয়েছে। কিন্তু কেউ কেউ আবার এই বিজ্ঞপ্তিকে সুনজরে দেখেননি। আপত্তি জানিয়ে তাঁরা বলেছেন, আবাসন কর্তৃপক্ষ তাঁদের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে আবাসিকদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করছে নাকি! আবাসিকদের অন্য একটি সংগঠনের একাংশ যদিও মনে করছে জনসমক্ষে থাকাকালীন কিছু বিধি পালন করাই উচিত।