Lok Sabha Election 2019

নির্বাচনের আগে ভাঁড়ার থেকে কেন্দ্রকে ২৮ হাজার কোটি দেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে, গত ১ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২১:১৮
Share:

আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।—ফাইল চিত্র।

সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে স্বস্তি মোদী সরকারের। নিজেদের ভাঁড়ার থেকে তাদের অর্থ দিতে রাজি হল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই)। বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখতে সোমবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সেন্ট্রাল বোর্ডের বৈঠক বসেছিল। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার আওতায়, লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদী সরকারের হাতে বাড়তি সঞ্চয় থেকে অগ্রিম ২৮ হাজার কোটি টাকা তুলে দেবে তারা।

Advertisement

সাধারণত জুলাই-জুন অর্থবর্ষ মেনে কাজ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এ দিন বৈঠকের পর একটি বিবৃতি জারি করে তারা জানায়, সবকিছু পর্যালোচনা করে, ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছ’মাসের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে ২৮ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। এই নিয়ে পর পর দুই অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিজেদের বাড়তি সঞ্চয়ের ভাগ দিতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এর আগে ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় সরকারকে বাড়তি সঞ্চয় থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা দেওযার কথা ঘোষণা করে তারা। যার মধ্যে অগ্রিম হিসাবে ১০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয় ২০১৮ সালের মার্চ মাসে।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে, গত ১ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। তাতে একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করেছে তারা। তার জন্য প্রয়োজন মোটা অঙ্কের টাকা। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের টাকা হাতে পেলে নির্বাচনের আগে সেই সংক্রান্ত কাজ শুরু করতে পারবে তারা। যা তুলে ধরা যাবে নির্বাচনী প্রচারেও।

Advertisement

আরও পড়ুন: ১৭ ঘণ্টার লড়াই শেষ, নিহত কামরান-সহ তিন জঙ্গি, চার সেনা ও এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু

আরও পড়ুন: মুকুলের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান বিশ্বজিৎ-শঙ্কুদেবের​

এই বাড়তি টাকার ভাগ নিয়েই বেশ কিছুদিন ধরেই শীর্ষ ব্যাঙ্কের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল মোদী সরকারের। এ ভাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বাড়তি সঞ্চয়ে হাত দিলে দেশের অর্থনীতির পক্ষে তা ভাল হবে না বলে একাধিকবার সাবধান করেছিলেন রঘুরাম রাজন থেকে শুরু করে দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমও। তাঁর উত্তরসুরি উর্জিত পটেলও সঞ্চয়ের ভাগ দিতে রাজি হননি। সেই নিয়ে মতবিরোধের জেরে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেন তিনি। পরে সেই জায়গায় আনা হয় অর্থমন্ত্রকের প্রাক্তন আধিকারিক শক্তিকান্ত দাসকে। সরকারি দাবিদাওয়া পর্যালোচনা করে দেখতে বিশেষ কমিটি গড়া ওঠে তাঁর নেতৃত্বে। তার পরই এ দিন কেন্দ্রকে টাকার ভাগ দেওয়ার ঘোষণা হল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement