Uttarkashi Tunnel Rescue Operation

উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের বায়ুসেনার চিনুকে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হৃষীকেশ এমসে, দ্রুত পরীক্ষা করাই উদ্দেশ্য

এখন উত্তরকাশীর চিনিয়ালিসৌর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমসে। প্রশাসনের জানিয়েছে, দ্রুত ৪১ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এই ব্যবস্থা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

দেহরাদূন শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:১০
Share:

উত্তরকাশীর হাসপাতালে ভর্তি উদ্ধার হওয়া শ্রমিকেরা। ছবি: পিটিআই।

উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার হওয়া ৪১ জন শ্রমিকই সুস্থ রয়েছেন। তবু কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চায় না উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। সে কারণে বুধবার সকালে ভারতীয় বায়ুসেনার চিনুকে চাপিয়ে শ্রমিকদের হৃষীকেশ এমসে ভর্তি করানো হচ্ছে। এখন উত্তরকাশীর চিনিয়ালিসৌর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমসে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, দ্রুত যাতে ৪১ জনের স্বাস্থ্যের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায়, সে কারণেই এই ব্যবস্থা।

Advertisement

উত্তরকাশীর মুখ্য মেডিক্যাল অফিসার আরসিএস পানওয়ার জানিয়েছেন, ৪১ জন শ্রমিক শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ রয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘সুড়ঙ্গ থেকে বার হওয়ার পর সকল শ্রমিককে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। কারও কোনও অসুস্থতা চোখে পড়েনি।’’ যদিও তার পরেও তাঁদের হৃষীকেশ এমসে ভর্তি করা হবে।

মঙ্গলবার প্রায় রাত ৭টা ৪৯ মিনিটে সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করা হয় শ্রমিকদের। সুড়ঙ্গের বাইরে ছিল অস্থায়ী হাসপাতাল। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসা হয় শ্রমিকদের। এর পর তাঁদের চিনিয়ালিসৌর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৩০ কিলোমিটার পথ দ্রুত পেরোতে গ্রিন করিডোর তৈরি করা হয়। চিনিয়ালিসৌর হাসপাতালে তৈরি ছিল ৪১টি শয্যা। প্রত্যেকটিতে অক্সিজেনের ব্যবস্থাও ছিল। সেখানেই চিকিৎসা শুরু হয় শ্রমিকদের। বুধবার সকালে হাসপাতালে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। তাঁদের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও ফোনে কথা হয়েছে শ্রমিকদের।

Advertisement

গত ১২ নভেম্বর উত্তরাখণ্ডের সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে ধস নেমে আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। চার ধাম প্রকল্পের অধীনে এই সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ চলছিল। ১৭ দিনের চেষ্টায় তাঁদের বার করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যর্থ হওয়ার পর ইঁদুরের কায়দায় গর্ত খনন করে সম্ভব হয়েছে উদ্ধার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement