ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি দেখতে ত্রিপুরায় বাম ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল। নিজস্ব চিত্র।
নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর থেকেই ত্রিপুরায় আইনের কোন শাসন নেই। সেখানে বেপরোয়া দুর্বৃত্ত রাজ চলছে। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এমনই অভিযোগ করল বাম এবং কংগ্রেসের সংসদীয় দল। ত্রিপুরার এই পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে সরব হওয়ার পাশাপাশি বৃহত্তর প্রচার চালানো হবে বলে জানিয়েছেন বাম ও কংগ্রেস নেতারা।
রাজ্যের অরাজকতা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকে আঙুল তুলেছে বাম ও কংগ্রেস সাংসদেরা। অন্য দিকে শাসক দল বিজেপির দাবি, জাতীয় স্তরে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে বিরোধীরা নাটক করছেন।
আজ শনিবার বাম- কংগ্রেসের সাত জন সাংসদ এবং রাজ্যের শীর্ষ নেতারা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। এই দলে বাম সাংসদ পি আর নটরাজন, এলামারম করিম, বিকাশ ভট্টাচার্য, এ এ রহিম, বিনয় বিশ্বমদের পাশাপাশি কংগ্রেসের তরফে সাংসদ রঞ্জিতা রঞ্জন, আব্দুল খালেক, অজয় কুমারেরা ছিলেন।
গত কাল ভোটের পরে ত্রিপুরার পরিস্থিতি ঘুরে দেখার সময়ে বিশালগড় মহকুমায় হামলার মুখে পড়েন বাম ও কংগ্রেস সাংসদেরাই।
আজ রাজ্যপালকে তাঁরা গত কালের ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানান, ত্রিপুরায় যা চলছে তা কোনওভাবেই গণতান্ত্রিক পরিবেশ নয়। রাজভবন থেকে বেরিয়ে ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
পরে বাম-কংগ্রেস সাংসদেরা সাংবাদিক বৈঠক করেন। কংগ্রেসের রঞ্জিতা রঞ্জন বলেন, ‘‘ত্রিপুরার বর্তমান অবস্থা জঙ্গলের শাসনকেও হার মানিয়েছে।’’ সিপিআই সাংসদ বিনয় বিশ্বমের বক্তব্য, ‘‘ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে এখনও প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোনও বিবৃতি দেননি।’’ সিপিএম নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরীর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই অপরাধীদের রক্ষা করছেন।
বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘জাতীয় স্তরে বিজেপিকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য শুক্রবার রাতে বিশালগড়ের নেহালচন্দ্র নগরে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের নেতারা পরিকল্পনামাফিক ঘটনা মঞ্চস্থ করেছেন।’’ নবেন্দু জানিয়েছেন, অভিযোগ জানার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা দিল্লি থেকে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
নবেন্দুর দাবি, বাম-কংগ্রেস সাংসদেরা ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। তারই প্রতিবাদ হয়েছে।