পীযূষ জৈন ফাইল চিত্র ।
গত সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশের ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ১৯৭.৪৯ কোটি টাকা এবং আনুমানিক ১১ কোটি টাকা মূল্যের ২৩ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। ১২০ ঘণ্টার ম্যারাথন তল্লাশি চালানো হয় ব্যবসায়ীর বাড়িতে। তাঁকে ৫০ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়েছিল।
পীযূষ গ্রেফতার হওয়ার পর জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে, ৫২ কোটি টাকা বকেয়া কর মিটিয়ে সহজেই মুক্তি পেয়ে যাবেন কানপুরের ব্যবসায়ী। বাকি সম্পত্তি ফেরতও দিয়ে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে গুজব ছড়িয়েছিল, বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির ভার নিচ্ছে জিএসটি ইন্টেলিজেন্স বিভাগ। তবে বৃহস্পতিবার এই জল্পনা উড়িয়ে দিলেন দিলেন জিএসটি ইন্টেলিজেন্সের ডিজি (ডিজিজিআই)।
ওই কর্তা বলেন, ‘‘বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির ভার নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে অনুমানমূলক এবং ভিত্তিহীন। এই গুজব তদন্তকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে।’’ পীযূষের সুগন্ধি দ্রব্য প্রস্তুতকারক সংস্থার কাগজপত্রগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
পীযূষকে কর ফাঁকির জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশে একাধিক শহরে সম্পত্তি ছাড়াও দুবাইয়েও দু’টি সম্পত্তি তাঁর রয়েছে বল তদন্তে নেমে জানতে পারেন কর্তারা। কিন্তু তাঁর উপর যাতে কারও সন্দেহ না হয়, সে জন্য তিনি বহু পুরনো স্কুটার এবং পুরনো সাথধারণ একটি গাড়ি ব্যবহার করতেন। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া বিপুল সম্পত্তিকে আয়কর বিভাগ বলেছে দেশের ইতিহাসে কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সর্বাধিক সম্পত্তি।